মানুষ যাতে ভালোভাবে থাকতে পারে সেজন্যই আমাদের রাজনীতিতে আসা। মানুষের ভালো দিকটা শুধু তৃণমূল নয়, প্রত্যেকটা দলেরই দেখা উচিত।দাসপুরের রসিকগঞ্জে আগুনে ধ্বংস হয়ে গেছে ধূপ কারখানা। ওই কারখানায় স্থায়ীভাবে আড়াইশো জন কর্মী কাজ করতেন। তারা সকলেই কাজ হারিয়েছেন। সেখানে গিয়ে হিরণ আমার নামে এবং রাজ্য সরকারের নামে কুৎসা ছড়িয়ে এসেছে বলে খবর পেয়েছি। আসলে এভাবে কাউকে ছোট করলে মানুষের কোনও লাভ হবে না। সাংবাদিকরা দেবকে বলেন, কারখানায় আগুন লাগার অনেক পরে দেব সেখানে যাওয়ায় তার প্রতিপক্ষ বিজেপি প্রার্থী হিরণ কটাক্ষ করেছেন।
তার উত্তরে দেব বলেন, হিরণ ঘটনাস্থলে গিয়ে তো কিছু করেনি, আমাকে এবং রাজ্য সরকারকে নিয়ে কিছু উচ্চবাচ্য কথা বলে এসেছে। সেটা না করে কারখানার আড়াইশো কর্মীর পরিবারের জন্য যদি কিছু করত তাহলে ভালো হত। কেন্দ্র সরকার তো তাদেরই।
আমরা এরকম কিছু করি না। আমরা ওই আড়াইশো পরিবারকে এই মার্চ মাস থেকেই প্রতি মাসে আড়াই হাজার টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং ছয় মাসের মধ্যে কারখানাটি চালু করার সব রকম চেষ্টা করছি।
আমি যখন সময় মতো গিয়ে পৌঁছতে পারিনি তখন অসহায় পরিবারগুলিকে হিরণ বলতে পারতো ঠিক আছে দেব যদি না আসে আমি তো এসেছি, আমি আপনাদের পাশে আছি।
এটা বললে ভালো হত। কারণ হিরন আমার ভালো বন্ধু। আসলে রাজনীতি এখন এমন একটা জায়গায় চলে গেছে, কে কিভাবে অন্যকে ছোট করবে, কিভাবে চোর তকমা দিয়ে দিবে, সেটা প্রমাণ হোক বা না হোক পরে দেখা যাবে।
দেব বলেন, ঘাটালের দশ বছরের সাংসদ হিসেবে সেখানকার কোনও দলের লোক বলতে পারবে না যে আমি তাদের কাউকে কোনও দিন ছোট করেছি। মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়ে দলের সঙ্গেও আমি লড়াই করেছি।
আমি সেই মানুষটা আবার ঘাটালেই লড়তে এসেছি। আমার কাজ হল এখানকার মানুষকে ভালো রাখা শান্তিতে রাখা। উচ্চবাচ্য করে কর্মীদের মধ্যে লড়াই শুরু করে দেওয়া ঠিক নয়। ঘাটাল শান্তিপূর্ণ একটা জায়গা। সাংসদ হিসেবে এখানকার সেই শান্তি বজায় রাখাটা কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।