অ্যাসেজ সিরিজ ২-১ এগিয়ে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ২০০১ সালের পর ফের এক বার ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজ জয়ের সুযোগ। ওভালে চলছে সিরিজের শেষ টেস্ট। প্রথম দিনের শেষে অ্যাডভান্টেজ ছিল অস্ট্রেলিয়া। যদিও দ্বিতীয় দিন ইংল্যান্ডের অনবদ্য-বোলিং ফিল্ডিংয়ে অ্যাডভান্টেজ হারাল অজিরা। আলোচনায় স্টিভ স্মিথের রানআউটও। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ২৮৩ রানে। জবাবে প্রথম দিনই ১ উইকেট হারিয়ে ৬৫ রান তুলে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সে কারণেই তাদের এগিয়ে রাখা হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার কাছে সুযোগ ছিল বড় রানের লিড নেওয়ার। যদিও সর্বসাকুল্যে মাত্র ১২ রানের লিড। সেটাও এল লোয়ার অর্ডারের সৌজন্যে। সবচেয়ে অবাক ব্যাটিং করেন মার্নাস লাবুশেন। ৮২ বল খেলে ৯ রানে ইনিংস ইতি তাঁর। উসমান খোয়াজা-লাবুশেন জুটি শুরুতে প্রতিরোধ গড়লেও রানের গতি বাড়াতে ব্যর্থ। উসমান খোয়াজাকে ফিরিয়ে অ্যাসেজে ১৫০ উইকেটের মাইলফলকে স্টুয়ার্ট ব্রড। ৪৭ রানে ফেরেন খোয়াজা। অনবদ্য ব্যাটিং করছিলেন স্টিভ স্মিথ। রান আউটের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। থ্রো ধরে উইকট ভাঙেন ইংল্যান্ড কিপার জনি বেয়ারস্টো। জায়ান্ট স্ক্রিনে প্রথম রিপ্লে দেখে প্যাভিলিয়নের দিকে হাঁটতে শুরু করেন স্মিথও। ইংল্যান্ড চূড়ান্ত আত্মবিশ্বাসী স্মিথের আউট নিয়ে। তৃতীয় আম্পায়ার ভারতের নীতীন মেনন। দীর্ঘ সময় বিভিন্ন অ্যাঙ্গল, স্লিট স্ক্রিনে রিপ্লে দেখে নটআউটের সিদ্ধান্ত দেন নীতীন। স্মিথ আউট কিনা, এই নিয়ে ট্রেন্ডিং ভারতের আম্পায়ার। প্রথম রিপ্লে দেখে আউট মনে হলেও বাকি অ্যাঙ্গল থেকে সিদ্ধান্ত সঠিক। আরও একটা সেঞ্চুরির প্রত্যাশা দেখাচ্ছিলেন স্মিথ। তবে ৭১ রানে থামল তাঁর ইনিংস। শেষ দিকে প্যাট কামিন্স-টড মার্ফি অনবদ্য ব্যাটিং করেন। না হলে প্রথম ইনিংসে লিড সম্ভব হত না অস্ট্রেলিয়ার। কামিন্স ৩৬ এবং মার্ফি ৩৪ রান করেন। শেষ অবধি ২৯৫ রানে শেষ অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। ইংল্যান্ডের হয়ে দাপট পেস আক্রমণের। ক্রিস ওকস নেন তিন উইকেট। মার্ক উড, স্টুয়ার্ট ব্রড দুটি করে উইকেট নেন। অনবদ্য বোলিং করেন জো রুট। দুটি উইকেট নেন রুট।