শেষ দিন ইংল্যান্ডের চাই ১৫২ রান, বাকি ৫ উইকেট

পুরুষদের অ্যাসেজ সিরিজ হার দিয়ে শুরু হয়েছে ইংল্যান্ডের। মেয়েদের অ্যাসেজ সিরিজের একমাত্র টেস্ট রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে। প্রথম ইনিংসে ট্যামি বোমন্টের ডবল সেঞ্চুরির কীর্তি, দুই ইনিংসেই সোফি এক্লেস্টনের অনবদ্য বোলিং। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ড টপ অর্ডার ভরসা দিতে ব্যর্থ। ম্যাচের শেষ দিন ইংল্যান্ডের চাই আরও ১৫২ রান। প্রথম ইনিংসে ৪৭৩ রান করে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ইংল্যান্ড করেছিল ৪৬৩ রান। এর মধ্যে ২০৮ রানের নজিরের ইনিংস ইংল্যান্ড ওপেনার ট্যামি বোমন্টের। লিড নিতে না পারলেও অস্ট্রেলিয়ার স্কোরের খুব কাছাকাছি পৌঁছেছিল ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার কাছে দারুণ সুযোগ ছিল ইংল্যান্ডকে বিশাল রানের লক্ষ্য দেওয়ার। তবে ইংল্যান্ডের বাঁ হাতি স্পিনার সোফি এক্লেস্টন প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও পাঁচ উইকেট নিয়ে সেই আশায় জল ঢেলে দেন। অজি ওপেনার বেথ মুনি ক্রমশ শতরানের দিকে এগচ্ছিলেন। তাঁকে ফিরিয়ে অজি শিবিরে বড় ধাক্কা দেন সোফি। ৮৫ রানে ফেরেন মুনি। অর্ধশতরান করেন অ্যালিসা হিলি। মাত্র ৬২ বলে ৫০ রান অজি কিপারের। তাঁকেও ফেরান সোফি। ২৫৭ রানেই শেষ অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংস। ইংল্যান্ডের জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৬৮ রান। ট্যামি বোমন্ট প্রথম ইনিংস যেমন খেলেছিলেন, তাঁর ওপর প্রত্যাশা অনেক বেশি ছিল। পার্থক্য গড়ে দিলেন স্পিনার অ্যাশলে গার্ডনার। ট্যামি বোমন্ট (২২), ইংল্যান্ড অধিনায়ক হেদার নাইট (৯) এবং অলরাউন্ডার ন্যাট সিবার ব্রান্ট (০) এই তিনটি বড় উইকেটই নেন অ্যাশ গার্ডনার। চতুর্থ দিনের শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ১১৬-৫। ক্রিজে রয়েছেন ড্যানি ওয়্যাট এবং কেট ক্রস। এখনও ১৫২ রান প্রয়োজন। এখনও ব্যাটিংয়ে আসা বাকি কিপার অ্যামি জোনসের। ড্যানি ওয়্যাট এবং অ্যামি জোনস বড় ইনিংস খেলতে পারলে তবেই জেতা সম্ভব ইংল্যান্ডের। অজিরা অপেক্ষা করছে বাকি পাঁচ উইকেটের। সব মিলিয়ে শেষ দিন যে কোনও দিকেই ঝুঁকতে পারে ম্যাচ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 3 =