বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় এখনও পর্যন্ত কোনও অঘটন ঘটল না। অপেক্ষাকৃত ছোট দলের কাছে আটকাল না কোনও বড় দল। রবিবার রাতে দিনের দ্বিতীয় প্রি-কোয়ার্টারে মুখোমুখি হয়েছিল দুরন্ত ফর্মে থাকা ইংল্যান্ড ও আফ্রিকান চ্যাম্পিয়ন সেনেগাল। একেবারে দুরন্ত ফুটবল খেলেই ইংরেজরা তিন গোলের মালা পরাল সেনেগালিজদের। গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যদের সামনে আলিউ সিজের দল একেবারে অসহায় আত্মসমর্পণ করল এদিন। একদম শুরু থেকেই ইংল্যান্ড অলআউট ঝাঁপিয়েছিল আল বায়েত স্টেডিয়ামে। পুরো ম্যাচে ৬৮ শতাংশ বলের দখল রাখা ইংল্যান্ড দলের হয়ে এদিন আলাদা করে নজর কাড়ছিলেন সেই জুড বেলিংহ্যাম। তৈরি করে দিচ্ছেন গোলের পথ। এই তরুণ তুর্কীর সঙ্গেই অভিজ্ঞ জর্ডান হেন্ডারসন জুটি বেঁধে গোল করলেন।
ম্যাচের বয়স তখন ৩৮ মিনিট। ক্যাপ্টেন হ্যারি কেনের বল ধরে বেলিংহ্যাম নিজের দক্ষতায় একাধিক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে হেন্ডারসনকে কাট ব্যাক করেন। সেখান থেকে হেন্ডারসন দুরন্ত গোলে গ্যালারির ইংরেজ সমর্থকদের খুশিতে মাতান। বিরতির আগে আরও এক গোলে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ৪৮ মিনিটে তরুণ প্রতিভা, ফিল ফোডেনের পাস থেকে ক্যাপ্টেন কেন গোল করেন। চলতি বিশ্বকাপের আসরে এটাই কেনের প্রথম গোল। বিরতিতেই খেলার ভাগ্য গড়ে ফেলে ইংল্যান্ড। তবে দ্বিতীয়ার্ধেও ইংল্যান্ডের ফ্যানদের গোলদর্শন করান বুকাও সাকা। আবারও সেই ফোডেনের পাস থেকে গোল এল। ৫৭ মিনিটেই ম্যাচের শেষ গোল আসে। এরপর আর কোনও দল গোলের দেখা পায়নি।আগামী ১১ ডিসেম্বর ইংল্যান্ড খেলবে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে। এবার লড়াই শেষ চারে যাওয়ার।
বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্যায়ে অস্ট্রেলিয়া ও ডেনমার্ককে হারিয়ে ফ্রান্স সবার আগে শেষ ষোলোর টিকিট কনফার্ম করেছিল এবার। যদিও প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচে টিউনিশিয়ার কাছে হারার জন্য সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছিল দিদিয়ের দেঁশর শিষ্যদের। তবে রবির রাতে পোল্যান্ডকে হারিয়ে শেষ আটে যেতে কোনও সমস্যায় পড়তে হল না গতবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। আল থুমানা স্টে়ডিয়ামে দুই ‘গোলমেশিন’ অলিভার জিরুদ ও কিলিয়ান এমবাপের কাঁধে ভর করে ফ্রান্স ৩-১ গোলে হারিয়ে দিল পোল্যান্ডকে। এমবাপে করেন জোড়া গোল। তবে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডকে কঠিন পরীক্ষায় পড়তে হবে। কারণ এই ফ্রান্স দলের গতি ও দক্ষতার সঙ্গে লড়াই করা কার্যত অসম্ভব।