ইউরো সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড। শনিবার রাতে ডাসেলডর্ফে সুইজারল্যান্ডকে টাইব্রেকারে ৫-৩ গোলে হারিয়ে শেষ চারে চলে গেল হ্যারি কেনরা। পেনাল্টি শুটআউটে পাঁচে পাঁচ গ্যারেথ সাউথগেটের দলের। ইংল্যান্ডের হয়ে গোল করেন কোল পালমার, জুড বেলিংহ্যাম, বুকায়ো সাকা, আইভান টনি এবং ট্রেন্ট আলেকজান্ডার আর্নল্ড। সুইজারল্যান্ডের গোলদাতা ফ্যাবিয়ান স্কার, শাকিরি, আমদৌনি। মিস করেন আকাঞ্জি। প্রথম শট বাঁচিয়ে দেন ইংল্যান্ড গোলকিপার পিকফোর্ড। এটাই দুই দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেয়। গোটা ইউরোয় নিজেদের ছন্দের ধারেকাছে না থেকেও শেষ চারে পৌঁছে গেল থ্রি লায়ন্সরা।
নব্বই মিনিটের শেষে ১-১। প্রথমার্ধ গোলশূন্য শেষ হয়। ৭৫ মিনিটে ব্রিল এমবোলোর গোলে এগিয়ে যায় সুইজারল্যান্ড। পাঁচ মিনিটে মধ্যে সমতা ফেরায় ইংল্যান্ড। গোল করেন বুকায়ো সাকা। ১২০ মিনিটের শেষেও ফয়সালা হয়নি। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। তবে সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই রেজাল্ট হয়ে যেত। দুই দলই একাধিক সুযোগ পায়। তবে অতিরিক্ত সময়ে দু’বার ইংল্যান্ডের পতন রোখেন গোলকিপার পিকফোর্ড। এক্সট্রা টাইমে আধিপত্য বেশি ছিল সুইসদের। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। এর আগে ১৯৯৬ সালের ইউরোয় গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দেশ। ম্যাচ ১-১ গোলে শেষ হয়।
প্রথমার্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। শুরুতে বল ধরে খেলার চেষ্টা করে ইংল্যান্ড। প্রথম দশ মিনিটে আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করে সাকা, ফোডেনরা। কিন্তু সুইস রক্ষণ ভাঙতে পারেনি। ১৫ মিনিটে গোল লক্ষ্য করে প্রথম শট ইংল্যান্ডের। কেনের পাস থেকে মাইনুর শট ব্লক করে সুইজারল্যান্ডের ডিফেন্ডাররা। ডানদিক দিয়ে বেশ কয়েকবার বক্সে ঢুকে পড়েন সাকা। প্রথমার্ধ গোলশূন্য শেষ হয়।
ম্যাচের ৭৫ মিনিটে সুইজারল্যান্ডকে এগিয়ে দেন এমবোলো। এনডয়ের উদ্দেশে বল বাড়ান স্কার। তাঁর পাস স্টোনসের পায়ে লাগলেও তিনি ব্লক করতে পারেনি। সামনে ফাঁকা গোলে ঠেলে দেন এমবোলো। পিছিয়ে পড়ার চার মিনিটের মধ্যে একসঙ্গে তিনটে পরিবর্তন করেন গ্যারেথ সাউথগেট। লুক শ, এবেরেচি এজে এবং কোল পালমারকে নামান। তার এক মিনিটের মধ্যে সমতা ফেরায় ইংল্যান্ড। রাইসের পাস থেকে কাট করে ঢুকে বক্সের মাথা থেকে কোনাকুনি বাঁ পায়ের শটে গোল করেন সাকা। ১-১ হওয়ার পর আরও আগ্রাসী দেখায় ইংল্যান্ডকে। তবে আর গোলমুখ খুলতে পারেনি। ম্যাচের অন্তিমলগ্নে সুযোগ মিস সুইসদের। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে গোলের সুযোগ পেয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু রাইস এবং বেলিংহ্যামের শট বাঁচান সুইস কিপার সোমার। এক্সট্রা টাইমে বিজজ্জনকে দেখায় সুইজারল্যান্ডকে। কিন্তু দুর্গ অক্ষত রাখেন পিকফোর্ড। শেষমেষ সুযোগ নষ্টের খেসারত দিতে হল।