১৯৯২য়ের পুনরাবৃত্তির আশায় বুক বেঁধেছিলেন পাকিস্তানের ক্রিকেট সমর্থকরা। ইমরান খানের মতোই খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তুলে বিশ্বকাপ জিতে নেবেন বাবর আজম। দ্বিতিয়বারের জন্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরবে ক্রিকেট দল, সেই মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করেছিল পাক ক্রিকেটপ্রেমীরা। কিন্তু সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল। মেলবোর্নের মাঠে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে ম্যাচ জিতে নিল ইংল্যান্ড। ২০১০ সালের পর ফের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে নিল তারা। প্রবল পরাক্রমে লড়াই করেও থামতে বাধ্য হলেন শাহিন আফ্রিদিরা।
প্রতিবেশী দুর্বল আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল জস বাটলারের দলকে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেও প্রায় জেতা ম্যাচ হারতে বসেছিল ইংরেজরা। সেমিফাইনালে ওঠার পথে একেবারেই স্বচ্ছন্দ দেখায়নি বেন স্টোকস, মইন আলিদের। খানিকটা ভাগ্যের সহায়তা নিয়েই সেমিফাইনালে উঠেছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে একেবারে অন্যভাবে ধরা দিয়েছিলেন স্যাম কুরানরা। ভারতের বোলিং লাইন আপকে নিয়ে ছেলেখেলা করেছিলেন জস বাটলার ও অ্যালেক্স হেলস। ১০ উইকেটে ম্যাচ জিতে সদর্পে ফাইনালে উঠেছিল ইংল্যান্ড।
স্বভাবতই ফাইনালে ফেভারিট ছিলেন বেন স্টোকসরাই। তবে হাল ছেড়ে দেওয়ার নয় পাকিস্তানও। তবে ফাইনাল খেলতে নেমে প্রথমেই টসে হেরে যান বাবর। বল হাতে আগুন ঝরাতে থাকেন ইংরেজ বোলাররা। আঁটসাট বোলিংয়ের সামনে আটকে যান পাক ব্যাটাররা। অধিনায়ক বাবর আজম ছাড়া একমাত্র শান মাসুদ রান পেয়েছেন। স্যাম কুরান-আদিল রশিদের কৃপণ বোলিংয়ের সামনে গুটিয়ে গেল পাকিস্তান। নির্ধারিত কুড়ি ওভারের শেষে ১৩৭ রান তোলে পাকিস্তান।
অপেক্ষাকৃত সহজ টার্গেট ছিল ইংল্যান্ডের সামনে। কিন্তু এই রান তুলতেও হিমসিম খেয়ে যান ব্যাটাররা। ভারতের বিরুদ্ধে ঝড় তোলা অ্যালেক্স হেলসকে প্রথম ওভারেই ফিরিয়ে দেন শাহিন আফ্রিদি। মাত্র ২৬ রান করে আউট হয়ে যান অধিনায়ক বাটলারও। তারপর থেকেই ক্রমশ ব্যাটারদের উপরে চাপ তৈরি করেন পাক বোলাররা। অল্প রানের পুঁজি নিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই চালিয়ে যান নাসিম শাহরা। ক্যাচ ধরতে গিয়ে চোট পান শাহিন। বোলিংয়ের মাঝপথেই তাঁকে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হয়। সেখানেই ম্যাচ ঘুরে যায়। মইন আলি ও বেন স্টোকসের জুটিই ইংল্যান্ডকে বিশ্বকাপ এনে দিল।