আগেই সিরিজ জেতা হয়ে গিয়েছিল ভারতের। রবিবারের ম্যাচ ছিল শুধুই নিয়ম রক্ষা। সেই ম্যাচে ২১৬ রানের পাহাড় প্রমাণ টার্গেট দিয়েছিল ইংল্যান্ড। জবাবে পাওয়ার প্লের মধ্যেই তিন উইকেট হারায় ভারত।
টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইংল্যান্ড।নিয়মরক্ষার ম্যাচে দলে বেশ কয়েকটি বদল করেছিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। জশপ্রীর বুমরাহ, যুজবেন্দ্র চাহালকে বাইরে রেখেই দল গড়েছিলেন হিটম্যান। বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল ভুবনেশ্বর কুমার, হার্দিক পান্ডিয়াকেও। তবে সকলের নজর ছিল উমরান মালিকের দিকে। বিধ্বংসী ওপেনার জেসন রয়কে ফিরিয়ে দিলেও চার ওভারে ৫৬ রান দেন তিনি।
একদিকে পরপর উইকেট পড়তে থাকলেও মাথা ঠাণ্ডা রেখে ব্যাট করেন দাভিদ মালান। মাত্র ৩০ বলে অর্ধ শতরান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগত ৭৭ রানে ইনিংস শেষ করেন মালান। চতুর্থ উইকেটে লিয়াম লিভিংস্টোনের সঙ্গে ৮৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েন তিনি।তারপরে এক ওভারে দুই উইকেট নিয়ে ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন লেগস্পিনার রবি বিষ্ণোই।কিন্তু শেষ দিকে ফের ঝড় তোলেন লিভিংস্টোন। ইংল্যান্ডের ইনিংস শেষ হয় ২১৫ রানে।
অধিনায়ক রোহিতের সঙ্গে ইনিংস ওপেন করতে নামেন ঋষভ পন্থ। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারেই ফিরে যান তিনি। আম্পায়ার কট বিহাইন্ড আউট দিয়ে দেওয়ার পরে রিভিউ নেওয়ার জন্য রোহিতের সঙ্গে আলোচনা করেন পন্থ। কিন্তু নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে যাওয়ার ফলে রিভিউ পাওয়া যায়নি। তবে পরে দেখা যায়, ঋষভের ব্যাটে বল লেগেছিল। বিরাট কোহলি মাত্র ১১ রান করেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। একই স্কোরে ফিরে যান অধিনায়ক রোহিতও।
তারপরে দলের হাল ধরেন সূর্যকুমার যাদব। শ্রেয়স আইয়ারের সঙ্গে সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ গড়ে ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন। ৪৮ বলে সেঞ্চুরি করেন সূর্যকুমার। আর কোনও ব্যাটারই সেভাবে রান করতে পারেননি। ভারতের ইনিংস শেষ হয় ১৯৮ রানে। রবিবারেও ম্যাচ দেখতে উপস্থিত ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রীও দর্শকাসনে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের সামনেই টি-টোয়েন্টি ট্রফি জিতল ভারত। তবে ম্যাচ হেরে।