চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আরও একটা রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ। গ্রুপ বি-তে চূড়ান্ত নাটক। এর আগে ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া ম্যাচেও এমনটা দেখা গিয়েছিল। বেন ডাকেটের বিধ্বংসী ইনিংসে অস্ট্রেলিয়াকে ৩৫২ রানের বিশাল টার্গেট দিয়েছিল ইংল্যান্ড। সেই ম্যাচ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। আইসিসি ওডিআই টুর্নামেন্টে যা সর্বাধিক রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড। ইংল্যান্ড অবশ্য ৩২৬ তাড়া করে জিততে পারল না। আফগান মহাকাব্যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বিদায় ইংল্য়ান্ডের। ওয়ান ডে বিশ্বকাপের পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, আরও একবার ইংল্যান্ডকে হারাল প্রথম বার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নামা আফগানিস্তান।
লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আফগানিস্তান। শুরুতে তিন উইকেট খুঁইয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ের সামনে পড়লেও অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলেন ইব্রাহিম জাদরান। তাঁর ১৭৭ রানের রেকর্ড ইনিংস এবং মিডল অর্ডারের সহযোগিতায় ইংল্যান্ডকে ৩২৬ রানের টার্গেট দেয় আফগানিস্তান। ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন আপ ভালো, গভীরতাও অনেক। কিন্তু আফগান স্পিন বোলিং আক্রমণ বিশ্বের অন্যতম সেরা। পেস বোলিং অলরাউন্ডার অজমতুল্লা ওমরজাইও দুর্দান্ত। টার্গেট পূরণ হল না ইংল্যান্ডের।
শুরুটা ভালো হলেও মাঝে সমস্যায় পড়ে ইংল্যান্ড। কিন্তু জো রুট ক্রিজে থাকায় ম্যাচ ইংল্য়ান্ডের গ্রিপেই ছিল। জো রুট ১২০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে ফেরেন। শেষ দিকে চূড়ান্ত নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়। জো রুট আউট হলেও জোফ্রা আর্চার ও জেমি ওভার্টন বিধ্বংসী জুটি বাঁধেন। ৪৮তম ওভারের পঞ্চম ডেলিভারিতে জেমি ফিরতেই ফের ব্যাকফুটে ইংল্যান্ড। শেষ ২ ওভারে ১৬ রানের টার্গেট দাঁড়ায় ইংল্যান্ডের। ক্রিজে জোফ্রা আর্চার ও আদিল রশিদ।
ক্রমশ রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি তৈরি হয়। পঞ্চম ডেলিভারিতে জোফ্রা আর্চার ফিরতে ফের ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ আফগানদের হাতে। বাকি ৭ বলে ১৩ রান প্রয়োজন। হাতে মাত্র এক উইকেট। আদিল রশিদের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দেন মার্ক উড। শেষ ওভারে আজমতুল্লা ওমরজাইয়ের হাতে ১৩ রানের পুঁজি। হয় ডট বল, নয়তো উইকেট। বাউন্ডারির খোঁজ পেল না ইংল্যান্ড। পঞ্চম ডেলিভারিতে আদিল রশিদের উইকেট। ৩১৭ রানেই অলআউট ইংল্য়ান্ড।
সেমিফাইনালের দৌড় থেকে ছিটকে গেলেন বাটলাররা। বাকি ম্যাচটা তাদের কাছে স্রেফ নিয়মরক্ষার। আফগানিস্তানের কাছে সুযোগ রয়েছে গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সেমিতে যাওয়ার। তাতেও যদি না হয়, ইংল্যান্ড যদি শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দেয়, লাভ আফগানিস্তানের।