ফের কলকাতা জুড়ে শুরু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্টের হানাদারি। মঙ্গলবার সকালেই শহরের একাধিক জায়গায় অভিযানে নামেন ইডির আধিকারিকেরা। এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকাল থেকে ইডির ১২টি দল তল্লাশি চালায় শহরের বিভিন্ন প্রান্তে। মূলত এই তল্লাশি চলে আনন্দপুর থেকে ট্যাংরা অঞ্চলে।
সূত্রে খবর, এদিন সকালে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে শহরের বিভিন্ন দিকে একইসঙ্গে অভিযানে বেরোয় ইডি আধিকারিকদের দল।ইডি সূত্রে খবর, একটি বেসরকারি সংস্থার অফিস সহ তল্লাশি চালানো হচ্ছে একাধিক অভিজাত আবাসনেও। ইডি সূত্রে এ খবরও মিলছে, ট্যাংরা, আলিপুর, আনন্দপুর, নিউ আলিপুর, হেস্টিংস, বজবজ, মহেশতলার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। তবে কী কারণে এই অভিযান তা এখনও স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়নি কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে।
এদিকে আনন্দপুরের যে অভিজাত আবাসনে তল্লাশি চালাচ্ছেন তার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির অভিযোগ। পাশাপাশি অভিযোগ রয়েছে বেআইনি লেনদেনেরও, এমনটাই খবর ইডি সূত্রে। সূত্রে খবর, একটি বেসরকারি সংস্থাও রয়েছে ইডি রাডারে। তাদের অফিস ছাড়াও বোর্ড ডিরেক্টরদের বাড়িতেও চালানো হচ্ছে তল্লাশি। মূলত, এর পিছনে কোনও প্রভাবশালীর হাত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একইসঙ্গে এই সংস্থার মাধ্যমে কোনও কালো টাকা সাদা করা হত কিনা তা তদন্ত করে দেখছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকেরা।
অন্যদিকে, নিয়োগ দুর্নীতি সহ একাধিক মামলায় এই মুহূর্তে তদন্ত চালাচ্ছে ইডি। হুগলির বলাগড়ের যুবনেতা কুন্তল ঘোষের নিউটাউনের ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে একাধিক নথি বাজেয়াপ্ত করে ইডি।তদন্তকারী আধিকারিকদের সূত্রে খবর, তিনটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ক্রয় করে জোড়া লাগিয়ে একটি বড় ফ্ল্যাট তৈরি করেছে। সেখান থেকে মামলার সঙ্গে যুক্ত বহু প্রমাণ ইডির হাতে এসেছে বলে খবর। এদিকে কুন্তল ঘোষের বাড়ি থেকে ২০২২ সালের টেটের ১৮৯ জনের অ্যাডমিট কার্ড এবং ওএমআর শিটের কপি মেলায় ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবারই তিনি এ নিয়েও বিস্তারিত জানাতে চান ইডি-র কাছে। এদিকে ইডি-র তরফে দাবি করা হয়, কুন্তলের চিনার পার্কের দু’টি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর হওয়া টেট এর কিছু পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিট এবং অ্যাডমিট কার্ডের ফটোকপি উদ্ধার হয়েছে।আর এই ওএমআর শিট আর অযাডমিট কার্ডের ফোটোকপিও কী ভাবে কুন্তলের ফ্ল্যাটে তা এল? তা নিয়ে তদন্তে নেমেছেন গোয়েন্দারা। প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাপস মণ্ডল ইডি-র আধিকারিকদের কাছে দাবি করেছিলেন, চাকরি প্রার্থীদের থেকে প্রায় ১৯ কোটি নিয়েছেন। সেই সূত্র ধরেই ইডি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েন কুন্তল ঘোষ।