অনুব্রতর ১১ কোটি ৫৬ লাখের বিপুল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ইডি-র

গরুপাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের বিপুল পরিমাণের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট। ইডি সূত্রে খবর, সব মিলিয়ে মোট ১১ কোটি ৫৬ লাখ টাকার সম্পত্তি অ্যাটাচ করা হয়েছে। সেখানে অনুব্রত মণ্ডলের ২৫টি অ্যাকাউন্টের টাকাও অ্যাটাচ করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর।একইসঙ্গে এও জানানো হয়েছে, শুধু অনুব্রতরই নয়, তাঁর স্ত্রী ও কন্যার সম্পত্তিও অ্যাটাচ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পাশাপাশি বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির হিসেব রক্ষক মণীশ কোঠারিরও ২৬ লাখ টাকার সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের নিয়ম অনুযায়ী সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণের ক্ষেত্রে প্রথম ধাপে প্রভিশনাল অ্যাটাচমেন্ট করা হয়। অনুব্রত, সুকন্যা, মণীশ কোঠারির সম্পত্তি প্রভিশনাল অ্যাটাচমেন্টের কথা আগের জমা দেওয়া চার্জশিটেই উল্লেখ করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার সেই সম্পত্তি পুরোপুরি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল ইডি। এই সম্পত্তি যে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে তৈরি হয়েছে, সেই বিষয়ে ইতিমধ্যেই প্রমাণ দিয়েছে ইডি এবং প্রসিড অব ক্রাইম হিসেবে এই সম্পত্তি অ্যাটাচ করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এখানে একটা কথা বলতেই হয়, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে এর আগে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে যে চার্জশিট জমা করেছিল, সেখানে তারা উল্লেখ করেছিল গরু পাচারের থেকে প্রায় ৪৮ কোটি টাকার সম্পত্তির পাহাড় তৈরি করেছিলেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতার তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। আর এই বিপুল অঙ্কের টাকার পুরোটাই গরু পাচারের কালো টাকা বলে সন্দেহও করেন ইডি-র তদন্তকারী আধিকারিকেরা। সেই টাকার একাংশ বাজেয়াপ্ত করার জন্য ইডির তরফে আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল।
এদিকে এই বিপুল পরিমাণ টাকা অ্যাটাচ করা হলেও আরও সম্পত্তি থাকতে পারে বলেই ধারনা বীরভূমের মানুষের একাংশের। একই ধারনা পোষণ করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরাও। আর এবার সেই লুকানো সম্পত্তির খোঁজে তদন্তের গতি আরও বাড়াচ্ছেন ইডির আধিকারিকেরা। আর সেই কারণেই ইডি-র স্ক্যানারে এখন অনুব্রতর আত্মীয় পরিজনদের সম্পত্তিও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 − four =