ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরই শেষ! জ্বরে কিশোরীর মৃত্যুতে ভাঙচুর ডাক্তারের ক্লিনিক

কলকাতা:  জ্বরের চিকিৎসা করাতে গিয়ে রোগীমৃত্যুর অভিযোগে ভাঙচুর নিউটাউনে এক ডাক্তারের ক্লিনিক। শুক্রবার রাতে কিশোরীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অশান্তির জেরে উত্তেজনা ছড়ায়।জে এন রায় নামে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ভুল চিকিত্সার অভিযোগ উঠেছে।

মৃতের নাম স্বর্ণালী মণ্ডল। ১৪ বছরের স্বর্ণালীর জ্বর ও পেটে ব্যাথার উপসর্গ ছিল বলে জানা গিয়েছে পরিবারের তরফে। চিকিৎসা করাতে ডাক্তারের ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কিশোরীকে। ওষুধ, সেলাইন দেন চিকিৎসক। কিন্তু বাড়ি ফেরার পরও শারীরিক অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। এরপর ফের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে কিশোরী। তাঁকে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসক একটা ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল ওই কিশোরী, আর তার জেরেই মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুক্রবার রাতে ভাঙচুর চালানো হয় নিউটাউনে ওই চিকিৎসকের ক্লিনিকে।

স্বর্ণালীর আত্মীয়রা জানিয়েছেন, গত বুধবার থেকে জ্বরে ভুগছিলেন ওই কিশোরী। পরে পেটে ব্যাথা শুরু হওয়ায় শুক্রবার সকালে তাকে চিকিৎসকের ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রথমে তাকে সেলাইন ও ওষুধ দেওয়া হয়। এরপর বাড়ি নিয়ে আসা হয় তাকে। পরিবারের দাবি বাড়ি আনার পর দেখা যায় কিশোরীর কোনও উন্নতিই হয়নি। অসুস্থতা ক্রমশ বাড়তে থাকে।রাতে ফের তাকে ওই ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। স্বর্ণালীর পিসি জানিয়েছেন, ডাক্তার ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর শরীরে জ্বালা শুরু হয়। তখন আত্মীয়দের বাইরে বের করে বাথরুম করার নল ঢোকানোর চেষ্টা করা হয়। এরপরই অচৈতন্য হয়ে পড়ে তাঁর ভাইঝি। সঙ্গে সঙ্গে তাকে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। আরজিকরেই কিশোরীর ময়নাতদন্ত হচ্ছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

6 − two =