প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টার। জলপাইগুড়ি থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হতে হেলিকপ্টারে চাপেন তিনি। তবে জলপাইগুড়ি থেকে আকাশে ওড়ার পরই দুর্যোগের মুখে পড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কপ্টার। বিপদ এড়াতে দ্রুত মুখ্যমন্ত্রীর কপ্টারের জরুরি অবতরণ করানো হয় বলে উত্তরবঙ্গ প্রশাসন সূত্রে খবর।
পাশাপাশি এও জানা গেছে, এদিন জলপাইগুড়ির ক্রান্তিতে সভা শেষ হওয়ার পর একটা বাজার কয়েক মিনিট আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বাগডোগরার উদ্দেশে রওনা হয়েছিল হেলিকপ্টার। গাজোলডোবার কাছে বৈকুণ্ঠপুরের জঙ্গল পেরনোর সময় ব্যাপক ঝড়বৃষ্টির মুখে পড়েন সকলে। কপ্টার চালানোই মুশকিল হয়ে পড়ে। এরপর আর কোনও ধুঁকি নেননি পাইলট। বিপত্তি এড়াতে বাগডোগরার বদলে অভিমুখ ঘুরিয়ে সেবকে বায়ুসেনার ঘাঁটিতে কপ্টারের জরুরি অবতরণ করান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ কপ্টারের সব আরোহী সুরক্ষিত আছেন বলে জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পূর্ণ ঠিক আছেন বলে জানান তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে এদিন সকাল থেকেই জলপাইগুড়িতে চলছিল ঝড় বৃষ্টি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগেও দু-একপশলা বৃষ্টি হয়। তবে সভা শেষে হতে হতে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাওয়ায় আকাশপথে বাগডোগরা যাওয়ার পূর্ব নির্ধারিত সূচিই অপরিবর্তিত ছিল। কিন্তু হেলিকপ্টার আকাশে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যে আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়। জলপাইগুড়ির সভা শেষে কলকাতা ফেরার জন্য বাগডোগরা যাচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গাজলডোবার বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গলের কাছে দুর্যোগ এত বেড়ে যায় যে গোটা কপ্টার ঝাঁকুনি খেতে শুরু করে। ঝড়বৃষ্টির মুখে কপ্টারের নিয়ন্ত্রণ রাখতে অসুবিধা হচ্ছিল। এদিকে কমে যায় দৃশ্যমানতা। এরপরই পাইলট সিদ্ধান্ত নেন জরুরি অবতরণের।
সূত্রে এও জানা যাচ্ছে, আবহাওয়ার অবনতি ও দুর্যোগের জেরে এখান থেকে সড়কপথেই যাত্রা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।