জনরোষ এড়াতে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংঘে অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেও বিক্ষোভকারীদের একাংশের হুমকির শিকার তিনিও। এই পরিস্থিতিতে আগামী ২০ জুলাই নয়া শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে বলে বুধবার জানিয়েছেন সে দেশের পার্লামেন্টের স্পিকার য়ুপা অবেবর্ধনে।
প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া দেশ ছাড়ার পর বুধবারই জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে শ্রীলঙ্কায়। অশান্তি ঠেকাতে রাজধানী কলম্বো-সহ বেশ কিছু এলাকায় নানা বিধিনিষেধ জারি করেছে পুলিশ। যদিও তা উপেক্ষা করেই চলছে বিক্ষোভ। গোতাবায়া শ্রীলঙ্কা ছেড়ে মলদ্বীপে আশ্রয় নিয়েছেন বলে শ্রীলঙ্কার সংবাদমাধ্যমের দাবি। যদিও এ বিষয়ে মলদ্বীপ সরকার এখনও কিছু জানায়নি। অবেবর্ধনে বুধবার দুপুরে জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তফা দিতে চলেছেন গোতাবায়া।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, রাজধানী কলম্বো-সহ পশ্চিম শ্রীলঙ্কায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কার্ফু জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই কলম্বোর রাজপথে হাজার হাজার মানুষ নেমে পড়েছেন। তাঁদের দাবি, দেশ ছেড়ে মালদ্বীপে পালিয়ে যাওয়া রাজাপক্ষেকে অবিলম্বে ইস্তফা দিতে হবে। বিক্ষোভকারীদের সামলাতে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়েছে পুলিশ। জলকামানও ব্যবহার করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের তাও দমানো যাচ্ছে না। তাদের প্রধানমন্ত্রী বাসভবনের সামনে জড়ো হয়ে জুতো ছুঁড়তে দেখা গিয়েছে।
অবেবর্ধনে বুধবার বলেন, ‘সংবিধানের ৩৭(১) ধারা অনুযায়ী কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বিক্রমসিংঘে। ২০ জুলাই হবে নয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।’ তবে আগামী ২০ জুলাই শ্রীলঙ্কায় নয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঘোষণা করলেও কী পদ্ধতিতে তা হবে, সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে শ্রীলঙ্কা ছেড়ে পালিয়েছেন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষে (Gotabaya Rajapaksa)। তিনি সরকারি ভাবে ইস্তফা না দিলেও এই পরিস্থিতিতে সদ্য প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংঘেই (Ranil Wickremesinghe) দেশের কার্যকরী প্রেসিডেন্ট। বুধবার সকালে তিনি দেশজুড়ে জরুরি অবস্থার ঘোষণা করলেন। রাজাপক্ষের দেশ ছাড়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভের আঁচ আরও তীব্র হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই এমন পদক্ষেপ বিক্রমাসিংঘের।