গঙ্গাবক্ষে চলবে বৈদ্যুতিক লঞ্চ, দূষণ রোধে নতুন বার্তা রাজ্যের

কলকাতা: পরিবেশের দূষণ কমাতে গঙ্গাবক্ষে দ্রুত চালু হতে যাচ্ছে বৈদ্যুতিক লঞ্চ পরিষেবা। সূত্রের খবর আপাতত ১৫ টি লঞ্চ চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও আগামীদিনে এই সংখ্যা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে পরিবহণ দপ্তরের। আর এহেন সিদ্ধান্তে দূষণ অনেকটা নিম্নমুখী হবে বলেই মনে করছে পরিবেশ দফতর ও রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।
সূত্রের খবর কলকাতা- হাওড়ার মধ্যে চলাচলকারী এই লঞ্চে ২৫০ জন যাত্রী পরিবহণের ক্ষমতা থাকবে। এছাড়াও কলকাতা শহর সংলগ্ন অন্যান্য জেলার লঞ্চ পরিষেবাতে ১০০ জন যাত্রী ধারণের ক্ষমতা হবে।
এছাড়াও গঙ্গাবক্ষে পর্যটনের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত লঞ্চগুলোতে সর্বাধিক ৭৫ থেকে ১৫০ জন যাত্রী পারাপার করতে পারবে বলেই জানা যাচ্ছে। যদিও প্রতিটি লঞ্চেই আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য বিকল্প জেনারেটরের ব্যবস্থাও রাখা থাকবে। রাজ্য সরকার গৃহীত ‘ইন্টার ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড মডেল ইন্টিগ্রেশন অফ ট্রান্সপোর্ট এন্ড আরবান আপগ্রেডেশন’ প্রকল্পের আওতায় এই ১৫টি লঞ্চ দ্রুত চালু করা হবে বলে জানা গিয়েছে । এই প্রকল্পের জন্য প্রায় ১০২১ কোটি টাকার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৭০০কোটি টাকা এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক থেকে ঋণের টাকা রয়েছে। বর্তমানের প্রচলিত ডিজেল চালিত লঞ্চ তৈরিতে খরচ হয় প্রায় চার কোটি টাকা। যদিও সেখানে একটি বৈদ্যুতিক লঞ্চ তৈরি করতে প্রায় ১২ কোটি টাকা খরচ হবে । চার্জিং পদ্ধতির মাধ্যমে চলা লঞ্চের জন্য মাথা পিছু প্রায় এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা জ্বালানির সাশ্রয় হবে বলেই জানা যাচ্ছে।
এছাড়াও পরিবহণ দপ্তরের দাবি, বৈদ্যুতিক লঞ্চ চালু হলে প্রায় ৫০ শতাংশ দূষণ কমবে। শুধুমাত্র ইলেকট্রিক বাস চালু করা নয় এই ধরনের লঞ্চ পরিষেবা চালু ছাড়াও গঙ্গার সঙ্গে যুক্ত যে সমস্ত শহর রয়েছে তার সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যানগুলিতে ক্যালিফ্রম ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে দূষণ কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও দূষণ কমাতে মৎস্য ও পরিবহণ-সহ রাজ্যের অন্যান্য দপ্তরের সঙ্গে পরামর্শ করে ইতিমধ্যে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তারা । এবার স্থলপথের পাশাপাশি এবার জল পরিবহণের দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty + four =