নির্বাচনী সমীক্ষা বলছে গুজরাতে এগিয়ে বিজেপি, বড়় অংশের মানুষ চাইছেন পরিবর্তন

শুভাশিস বিশ্বাস

গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচন ১ ও ৫ ডিসেম্বর। দু’ দফায় হবে এই নির্বাচন। ৮ ডিসেম্বর ফলাফল ঘোষণা। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে গুজরাতের এই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে দেশের রাজনৈতিক মহল। কারণ, এই গুজরাত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্য। এদিকে আবার ২০২২-এ গুজরাত নির্বাচনে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে আম-আদমি পার্টিও। পিছিয়নে নেই কংগ্রেসও। জোর প্রচার চালিয়েছে তারাও। তবে নির্বাচনের এক মাস আগে এবিপি-সিভোটারের সমীক্ষার নিরিখে সপ্তমবারের জন্য গুজরাতে বিজেপি সরকারেরই ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ, এই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে বিজেপি ৪৫.৪ শতাংশ ভোট পাবে। ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনের থেকে ৩.৭ শতাংশ কম। অন্যদিকে, কংগ্রেস পাবে ২৯.১ শতাংশ। রাজ্যের আগের বিধানসভা নির্বাচন থেকে ১২.৪ শতাংশ বেশি ভোট পাবে। এবিপি-সিভোটারের সমীক্ষা অনুসারে, আপ ২০.২ শতাংশ ভোট পাবে। যেখানে গতবারের বিধানসভা নির্বাচন অর্থাৎ ২০১৭ সালে ৩০টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল আপ। তবে শূন্য হাতেই ফিরতে হয় তাঁদের।

গুজরাতে ভোটের বড় ইস্যু হতে চলেছে কর্মসংস্থান এবং মুদ্রাস্ফীতি। এই দুটি ইস্যুতে বিজেপির উপর চাপ তৈরি করবে বিরোধীরা। কারণ মোদি  সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের কর্মসংস্থান তলানিতে এসে ঠেকেছে। কংগ্রেস থেকে শুরু করে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি ক্রমাগত মোদি সরকারকে এই নিয়ে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। পাশাপাশি কোভিড আবহে অসংখ্য মানুষের কাজ গিয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে একাধিক সরকারি ক্ষেত্রের বেসরকারিকরণের ঘটনা। বোঝার ওপর শাকের আঁটির মতো তার সঙ্গে যোগ হয়েছে মুদ্রাস্ফীতি। আর এই মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে রিজার্ভ ব্যাংকে পরপর তিনবার রেপো রেট বাড়াতেও হয়। সব কিছুর জেরে গুজরাতের ৪৩ শতাংশ মানুষ বিজেপি সরকারের ওপর ক্ষুব্ধ। তাঁরা সরকারের পরিবর্তন চান।

অন্যদিকে, আপ তাদের নির্বাচনে বার বার দিল্লি মডেল তুলে ধরছে। দিল্লির স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থা ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় প্রশংসিত হয়েছে। মোরবি সেতু ভাঙার পরে গুজরাতের মানুষের রাজ্য সরকারের ওপর অসন্তোষ আরও খানিকটা বেড়েছে। পাশাপাশি বিরোধীরা মোরবি সেতু দুর্ঘটনাকে হাতিয়ার করে গুজরাতের রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে আসছেন বিরোধীরা। এদিকে এবিপি-সিভোটারের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, গুজরাতের ৩৩ শতাংশ মানুষ রাজ্যের বেকারত্বকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। অন্যদিকে, ১৮ শতাংশ মানুষ মনে করছেন, গুজরাতের পরবর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জল ও রাস্তার দিকে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। ১৫ শতাংশ মানুষ গুজরাতে কৃষকদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেছেন। ১৯ শতাংশ মানুষ মনে করছেন, ধর্মীয় মেরকরণ ঠিক করবে রাজ্যে কোন রাজনৈতিক দল সরকার গঠন করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 − six =