ত্রিপুরা, মেঘালয়, নাগাল্যান্ডে নির্বাচনের দিন ঘোষণা কমিশনের

বুধবার ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ড বিধানসভার নির্বাচনের দিন ঘোষণা করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের তরফ তেকে এদিন জানানো হয়, বহু প্রতীক্ষিত এই তিন রাজ্যে ভোট হবে দু’দিনে। মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডে  ভোট আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি।আর ত্রিপুরায় ভোট  আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি। তিন রাজ্যেরই ফলাফল ঘোষণা করা হবে  আগামী ২ মার্চ।

তিন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যে সবচেয়ে নজরকাড়া ভোট পরিস্থিতি মেঘালয় এবং ত্রিপুরায়। কারণ, এই দু’টি রাজ্যের ভোটে তৃ়ণমূল কংগ্রেস সরকার তৈরির জন্য ঝাঁপিয়েছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ৬০টি আসনে মেঘালয়ে বিধানসভা নির্বাচন। এদিকে এটাও ঠিক যে বাংলার বাইরে একমাত্র মেঘালয়ে তৃ়ণমূল সবচেয়ে শক্তিশালী। এই মুহূর্তে তারা এই রাজ্যে বিরোধী আসনে থাকা দল। কারণ, কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে এসে তৃ়ণমূলে যোগ দিয়েছেন একাধিক বিধায়ক। এ রাজ্যে শাসকদল এনপিপি। মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা। আপাতত যা দেখা যাচ্ছে তাতে মেঘালয়ে থাকা বাংলাভাষীদের বড় অংশকে টার্গেট করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বর্তমানে মেঘালয় সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা দলের সুপ্রিমো  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  এবং তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন- কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবারই গারো হিলসে নির্বাচনী জনসভা থেকে মেঘালয়ের বর্তমান সরকারকে উৎখাত করার ডাক দেন তাঁরা। সঙ্গে একহাত দেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকেও। নাম না করেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন তাঁকে কটাক্ষ করেন।

মেঘালয়ের পরই নজরে রয়েছে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন। উত্তর পূর্বাঞ্চলের বাংলাভাষী প্রধান রাজ্য ত্রিপুরা। এ রাজ্যের মোট ৬০টি বিধানসভা আসন। শাসক বিজেপি-আইপিএফটি জোট গত বিধানসভার ভোটে টানা পঁচিশ বছরের বামফ্রন্ট শাসনের পরিবর্তন ঘটিয়ে সরকার গড়েছে। তবে গোষ্ঠীকোন্দল ও রাজনৈতিক হিংসায় এই মুহূর্তে জেরবার শাসক দল বিজেপি। পরিস্থিতি এমনই যে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর মুখও বদল করতে বাধ্য হতে হয় গেরুয়া শিবিরকে। বিপ্লব দেব পদত্যাগ করার পর বর্তমানে রাজ্য চালাচ্ছেন মানিক সাহা। ত্রিপুরায় সরাসরি বিজেপি বনাম সিপিএম-কংগ্রেসের জোট লড়াই। তবে ত্রিপুরা নির্বাচনেও একটা বড় ফ্যাক্টর তৃণমূল কংগ্রেস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine − 7 =