কলকাতা : আর জি কর-কাণ্ডে “শিক্ষা নেন, এবং সব মেয়েকে, সব সময়ে, নিরাপত্তা ও সুরক্ষা দিতে দায়বদ্ধ হন”। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোলা চিঠিতে এ কথা লিখলেন বিশিষ্ট মহিলা সমাজকর্মীরা।
চিঠিতে তাঁরা লিখেছেন, “আর জি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যায় আমরা মর্মাহত। আমরা প্রশাসনের কাছে আবেদন করছি, তাঁরা যেন এই ঘটনায় নিজেদের দায় স্বীকার করেন। আমরা মনে করি, সরকারকে এখনই এই সব পদক্ষেপ করতে হবে।”
এই সঙ্গে ১) মহিলা হেল্পলাইন (১৮১), ২) সব জেলায় ‘ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার’, ৩) প্রতিটি জেলায় স্থানীয় কমপ্লেন কমিটি (এলসিসি), ৪) কর্মক্ষেত্রে ইন্টার্নাল কমপ্লেন কমিটি (আইসিসি) তৈরি, ৫) সর্বত্র মেয়েদের জন্য যথেষ্ট, এবং ব্যবহারযোগ্য শৌচাগার,
৬) সর্বত্র যথেষ্ট আলোকিত রাখা, ৭) লিঙ্গ সুমারি ও সুরক্ষা সমীক্ষা বাধ্যতামূলক করা, ৭) পুলিশের কাছে প্রতিটি এলাকার ‘সেফটি ম্যাপ’ রাখা, ৮) বিভিন্ন এলাকা অবৈধ মদের দোকান থেকে মুক্ত রাখা, ৯) রাজ্য মহিলা কমিশনের সদস্যদের পরিবর্তন, ১০) এখনও অবধি কেন্দ্রের নির্ভয়া তহবিল-এ পাওয়া টাকার খতিয়ান, ১১) অপরাজিতা বিল আইনে পরিণত হলে একটি দফতরকে ‘নোডাল ডিপার্টমেন্ট’ বলে ঘোষণা করা প্রভৃতি। প্রতিটি সম্পর্কে বোঝাতে কিছুটা বর্ণনা দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।
চিঠিতে সই করেছেন লেখক এবং প্রশাসক অনিতা অগ্নিহোত্রী, মানসিক স্বাস্থ্য কর্মী পিয়া চক্রবর্তী, আইনজীবী এবং আন্দোলনকর্মী মধুপূর্ণা ঘোষ, নারীবাদী আন্দোলনকর্মী দোলন গঙ্গোপাধ্যায়, স্বাতী ভট্টাচার্য ‘সাউথ এশিয়ান উইমেন ইন মিডিয়া’-র ভারতের সভানেত্রী তথা সাংবাদিক স্বাতী ভট্টাচার্য, লেখক ও গবেষক শর্মিষ্ঠা দত্তগুপ্ত প্রমুখ।