‘রাক্ষস প্রহরের জন্য অধীর অপেক্ষা করে রয়েছি।’ শনিবার এমনই টুইট করতে দেখা গেল রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে। সঙ্গে টুইটারে ব্রাত্য বসু এও লেখেন, ‘সাবধান, সাবধান, সাবধান! শহরে নতুন ভ্যাম্পায়ার এসেছে। শহরবাসী নিজেদের খেয়াল রাখুন। ভারতীয় পুরাণ মতে রাক্ষস প্রহরের জন্য অপেক্ষায় আছি।’ আর এই টুইট যে রাজ্যপাল সি বি আনন্দ বোসকে উদ্দেশ্য করেই করা তা বুঝতে কারও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কারণ, শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করার যে হুঁশিয়ারি রাজ্যপাল দিয়েছেন তা নিয়ে এই কটাক্ষ ভরা টুইট ব্রাত্যর। নাম না করে রাজ্যপালকে সেখানে তুলনা করেছেন ‘ভ্যাম্পায়ার’-এর সঙ্গে।
এর আগে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কার্যকলাপ নিয়ে সমালোচনা করে মহম্মদ বিন তুঘলকের সঙ্গে তুলনা করতে দেখা গেছে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য় বসুকে। রাজ্যপাল যেভাবে কাজ করছেন, তা ‘তুঘলকীয়’ বলে খোঁচা দিয়েছেন তিনি। আর এরপরই চরম বার্তা দিতে দেখা যায় রাজ্যপাল বোসকে। বলেন, ‘কী হয় তা দেখার জন্য মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।’
প্রসঙ্গত, বাংলার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকার বনাম রাজ্যপালের সংঘাত ক্রমেই চরমে উঠছে। রাজ্যপাল যেভাবে একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করে চলেছেন, তা নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়েছে রাজ্য সরকার। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু তো বটেই, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন। রাজ্যপাল নিজের পছন্দের লোকেদের উপাচার্য করে বসিয়ে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ সরকারের। এমন এক পরিস্থিতিতে শুক্রবার রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারদের বৈঠকে ডেকেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কিন্তু সেখানেও অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আসেননি। গতকালের বৈঠক শেষে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ফের সরব হন শিক্ষামন্ত্রী। রাজভবন থেকে অনেক রেজিস্ট্রারকে বৈঠকে না যাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে বলেও ক্ষোভ উগরে দেন ব্রাত্য। রাজ্যপালের কাজকর্মকে ‘তুঘলকীয়’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। আর এরপরই রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের বাতাবরণ আরও চরমে উঠল।