কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে এই মুহূর্তে সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। টেট থেকে এসএসসি, চাকরির দাবি নিয়ে রাজ্যজুড়ে আন্দোলন চলছে। গান্ধী মূর্তি থেকে শুরু করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সামনে ধর্না বিক্ষোভ, নিত্য ঘটনা। এরই মধ্যে পর্ষদ নতুন করে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। কিন্তু তাতেও আন্দোলন ওঠেনি। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি নিয়োগ না হলে আ¨োলন চলবে।
এই পরিস্থিতিতে এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বললেন, ‘আন্দোলন করলেই কি সকলকে চাকরি দিতে হবে? এটা সম্ভব নয়। চাকরির সঙ্গে আন্দোলনের কোনও সম্পর্ক নেই।’
ব্রাত্য এদিন সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট করে দিলেন যে, শুধু আন্দোলন করেই চাকরি পাওয়া যাবে না। তিনি বলেন, ‘চাকরি হয় যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে। আন্দোলন মামলা দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া ব্যাহত হলে তা নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
শিক্ষামন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘নেট পাস করে কি সবাই চাকরি পান? জয়েন্ট পাস করে কি সবাই ইঞ্জিনিয়ারিং-এ সুযোগ পান?’ ব্রাত্য বসুর কথায়, এভাবে আন্দোলন চললে সরকারের কাজ করা মুশকিল হয়ে যায়। বিরোধীরা চান না অধিকাংশরা চাকরি পাক।
মন্ত্রীর কথায়, টেটের বিজ্ঞপ্তিতে কিছু মামলা যেমন ন্যায়সঙ্গত, তেমন এমন কিছু মামলা হচ্ছে, যাতে নিয়োগ প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। বিরোধীরা এই আন্দোলনকারীদের দাবার ঘুঁটি হিসাবে ব্যবহার করছে বলেও মনে করেন তিনি। আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে মন্ত্রীর বার্তা, ‘আমাদের উপর ভরসা না রাখলেও কোর্টের উপর ভরসা রাখুন। নিয়োগ প্রক্রিয়া বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে বিরোধীরা। বিরোধীরা রাজনৈতিক ধুয়ো দিয়েছে আন্দোলনে। আন্দোলন করা মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু আন্দোলন করলেই তো চাকরি পাওয়া যাবে না, চাকরি তো হবে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে, যোগ্যতার ভিত্তিতে।’
পাশাপাশি তিনি জানান, শারীরশিক্ষা, কর্মশিক্ষার প্রার্থীরা চাকরি পেতে শুরু করেছেন। প্রধান শিক্ষকের রুল সংশোধন হচ্ছে। আগামীদিনে স্বচ্ছ নিয়োগ হবে। সম্প্রতি রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আর্থিক হাল নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রাক্তনীদের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য চাওয়ার পর তা যেন আরও জোর বাড়ায় বিরোধীদের। যদিও যাদবপুরের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের বক্তব্য ছিল, রাজ্য সাহায্য করছে। তবে পরিকাঠামোকে আরও সুদৃঢ় করতে প্রাক্তনীদের এগিয়ে আসার কথা বলেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে ব্রাত্য বসুর মন্তব্য, তরাজ্যের কোনও বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রের কোনও টাকা পাচ্ছে না। রাজ্য ম্যাচিং গ্র্যান্ট দেওয়া সত্ত্বেও কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না।