চাকরিপ্রার্থীদের পাশে থাকার আশ্বাস মিলল শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর তরফ থেকে। শুক্রবার বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে শিক্ষামন্ত্রী জানান, ‘আইনি প্রক্রিয়ার জট ছাড়ার মুখে। চাকরিপ্রার্থীদের পাশে সরকার রয়েছে।’ এদিকে দীর্ঘদিন ধরে চলছে চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন। এখনও রাজপথে ওঁরা। এদিকে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে পাশে নিয়ে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বৃহস্পতিবারই সাংবাদিক বৈঠক করেন। তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্র না পেলে প্য়ানেল প্রকাশ করা যাচ্ছে না। তবে খুব তাড়াতাড়িই এই জটিলতা কেটে যাবে বলে আশা প্রকাশও করতে দেখা যায় তাঁকে। এরপর শুক্রবার বিধানসবা চত্বরে দাঁড়িয়ে শিক্ষামন্ত্রী যে কথা বলেন তাতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির বক্তব্যে সমর্থন জানাতেই দেখা যায় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকেও।
এদিকে যতক্ষণ না কোনও সদর্থক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে কতটা চিঁড়ে ভিজল তা নিয়ে প্রস্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা জানান, ৯০০ দিন ধরে গান্ধি মূর্তি পাদদেশে বসে রয়েছেন তাঁরা। সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের তরফ থেকে এও জানানো হয়, ‘২০১৬ এসএলএসটি উত্তীর্ণ নাইন থেকে টুয়েলভ যোগ্য পাশ করা মেধাতালিকাভুক্ত চাকরিপ্রার্থী। আমরা বহু বছর ধরে শুনে আসছি, চাকরিটা পাব। আমরা বঞ্চিত। আইনি জটিলতা কাটলেই আমরা নাকি চাকরি পাব। এটা বছরের পর বছর চলছে।’ এরপরই একই সঙ্গে তাঁদের প্রশ্ন, ‘এভাবে আর কতদিন? ২০১৬-২০২৩ সাল হয়ে গেল। এখনও কি আমাদের ওপর কোনও দয়া হচ্ছে না?’
আরেক চাকরিপ্রার্থী বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনে কেন নামতে হল? এটাই তো বড় কথা। আমরা হকের চাকরিটা চাইছি। ২০১৯ সালে বলেছেন দেবেন, ২০২২, ২০২৩ সাল এতদিন ধরে চলছে। আমরা তো ঘর পোড়া গরু। আমাদের শুধু আশ্বাসে আর কিছুই হচ্ছে না। আমরা এবার হাতেনাতে ফলটা চাইছি।’ অর্থাৎ, এর থেকে স্পষ্ট যে পর্ষদ সভাপতি, শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে যে খুব একটা বেশি আশ্বস্ত হতে পারছেন না চাকরিপ্রার্থীরা।