‘ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষা’ বলে কর্নাটক মডেলকে কুর্নিশ মমতার

শনিবার বেলা গড়াতেই যখন কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনের ফল স্পষ্ট, তখন টুইট করে নিজের মতামত ব্যক্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে লেখেন, ‘পরিবর্তনের লক্ষ্যে জনতার এই সুস্পষ্ট রায়কে আমার স্যালুট জানাই। রূঢ়, স্বৈরাচারী রাজনীতি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। মানুষ যখন গণতান্ত্রিক শক্তির পক্ষে রায় দেয়, কোনও কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা সেই স্বতঃস্ফূর্ততাকে দমন করতে পারে না। মূল গল্পের এটাই সারাংশ। এটাই ভবিষ্যতের শিক্ষা।’ তবে এদিনের তাঁর এই টুইটে কোথাও কংগ্রেসের নামোচ্চারণ করতে দেখা যানি তৃণমূল সুপ্রিমোকে। তবে বিজেপির বিরুদ্ধে এই জয়ে কর্নাটক মডেলকে কুর্নিশ জানান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে একাধিকবার তৃণমূল কংগ্রেসকে হাত শিবিরের নানা সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছে। রাহুল গান্ধিরও ভুরি ভুরি সমালোচনা শোনা গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের মুখে। এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বরাবর ওয়ান-টু-ওয়ান ফাইট চেয়েছেন।
এদিকে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও সেভাবে কোথাও রাহুল গান্ধির অবদান নিয়ে কোনও মন্তব্য শোনা যায়নি। কর্নাটক জয়ে রাহুল গান্ধির কৃতিত্ব সম্পর্কে উদাসীনই থাকতে দেখা যায় তৃণমূলের সেকন্ড-ইন-কমান্ডকে।কর্নাটকের ফল নিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলার মানুষ ২০২১ সালে যা করেছিল কর্নাটকের মানুষ ২০২৩ সালে করল। ধর্মের রাজনীতি বাংলা থেকেই প্রত্যাখান করা শুরু হয়েছিল। আমরা অত্যন্ত খুশি যে বাংলা যে পথ দেখিয়েছিল কর্নাটকের মানুষ তা অনুসরণ করেছে। মমতা বিজেপিকে হারানোর ডাক দিয়েছিলেন। বাংলার মতো নো ভোট টু বিজেপি হয়েছে কর্নাটকেও।’ তবে ‘ভারত জোড়া যাত্রা’ আদৌ কী প্রভাব ফেলেছে তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে ধর্মতলায় ধরনা মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে ২০২৪-এ সকলকে একজোট হওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন। এদিন কর্নাটক জয়ের পরও কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়াও অ-বিজেপি রাজনৈতিক দলগুলিকে এক ছাতার তলায় আসার আহ্বান জানান। এখন দেখার কর্নাটক জয়ের পর ঘাসফুল এবং হাত শিবির এক অপরের কাছাকাছি আসতে পারেন কি না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − one =