বীরভূম: বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের চাটার্ড অ্যাকাউটান্ট মণীশ কোঠারির কাছে তাঁর কোম্পানির প্রকৃত নথি তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে এ প্রসঙ্গে এও জানানো হয়, মণীশের কোম্পানির ব্যালান্স শিট সার্টিফায়েড নয়। আর সেই কারণেই মূল নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছে জরুরি নথি চেয়েছে ইডি।’ প্রসঙ্গত, মণীশ কোঠারি অনুব্রত মণ্ডলের হিসাব রক্ষক ছিলেন। আর সেই কারণেই বহু গরমিল নজরে আসার পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা মণীশ কোঠারির বাড়িতে তল্লাশি চালান। এই তদন্ত করতে গিয়ে মণীশের বাড়ি থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। তার ভিত্তিতেই তলব করা হয় তাঁকে। এদিকে সূত্রে খবর, নথি জমা দিতে বোলপুর থেকে দিল্লিতে গিয়েছেন মণীশের সহকর্মী।
এখানে বলে রাখা শ্রেয়, এর আগে নথিপত্র নিয়ে সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল তাঁকে। সিবিআইয়ের এই তলব পেয়ে হাজিরাও দিয়েছিলেন তিনি। মূলত জমিজমা বিক্রি সংক্রান্ত ক্ষেত্রে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে যে সব বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, সেই সংক্রান্ত প্রচুর তথ্য হাতে আসে তদন্তকারীদের। আদিবাসীদের জমি বেআইনিভাবে দখলের অভিযোগ ওঠে। যেমন, বোলপুরের রূপপুরে সরকারি খাস জমি, পাট্টা জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। নাম উঠেছে মণীশের বন্ধু সুমন্ত আগরওয়ালেরও। রূপপুর মৌজায় আদিবাসীদের জমি জোর করে কীভাবে কিনে নেওয়া হয় তা নিয়েও রয়েছে বিস্তর ধোঁয়াশা। তারই সূত্র ধরে কাঠগড়ায় ওঠে চার্টার্ড অ্যাকাউন্টান্ট মণীশ কোঠারির নাম। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতার টাকা-পয়সার সব হিসেব-নিকেশ দেখভাল করতেন এই মণীশ কোঠারিই। ফলে তাঁর কাছে রয়েছে সমস্ত তথ্য। পাশাপাশি শুধু অনুব্রতর সম্পত্তিই নয়, মণীশের নিজের সম্পত্তি দেখেও প্রশ্ন তুলেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। আর সেই কারণেই কীভাবে তাঁর এত সম্পত্তি, সেটাও জানতে চান তদন্তকারীরা।