অনুব্রতর পর এবার দিল্লিতে ইডি-র তলব আসানসোল জেল সুপার কৃপাময় নন্দীকে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রে খবর, আগামী ৫ এপ্রিল তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। শুধু তলবই নয়, তাকে বেশ কিছু তথ্য সঙ্গে নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। তার মধ্যে ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট ও সম্পত্তির তথ্যও রয়েছে রয়েছে বলে খবর। আর এই ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট চাওয়া হয়েছে বিগত ১০ বছরের। ইতিমধ্যেই এই সব কিছু জানিয়ে ইডির তরফ থেকে চিঠি মেইল করে পাঠানোও হয়েছে জেল সুপারের কাছে। এদিকে এই চিঠি প্রাপ্তির কথা স্বীকার করেছেন আসানসোল জেল সুপার। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১০ অগাস্ট বোলপুর থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই। তারপর ২৪ অগাস্ট থেকে আসানসোল জেলেই ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট। এরপর গত ৭ মার্চ দোলের দিন সকালে অনুব্রতকে আসানসোল জেল থেকে কলকাতা হয়ে দিল্লি নিয়ে যায় ইডি। অর্থাৎ, গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর প্রায় ৬ মাস তাঁর অধীনেই ছিলেন আসানসোল জেল বা বিশেষ সংশোধনাগারে বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
এদিকে ইডি সূত্রে খবর, গত দুর্গাপুজোর সময় জেলে থাকা বন্দিদের জন্য এলাহি খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল আসানসোল সংশোধনাগারের তরফ থেকে। তদন্তে ইডি-র আধিকারিকেরা জানতে পেরেছেন, এই এলাহি খাওয়া দাওযার ব্যবস্থা করাও হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলের আবদারেই। এবার সেই জেলেরই পুলিশ সুপারকে ডেকে পাঠাল ইডি। এদিকে আবার দিল্লি ডেকে পাঠিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মনীশ কোঠারিকে। এই পরিস্থিতিতে আসানসোল সংশোধনাগারের জেলার সুপারকে ডেকে পাঠানো বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এদিকে আবার দিল্লিতে ইডির হেফাজতে থাকার মধ্যে ডাক পড়েছে অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলেরও। তার কাছে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার এসেছে নোটিশ। শেষ মেইল-এ ইডি-কে সুকন্যা জানিয়েছেন তাঁর শরীর খারাপ। সে কারণেই যেতে পারছেন না দিল্লিতে।