কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার হয়েছেন তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষ। তাঁর সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের সূত্র ধরে ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছেন অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত। সমন পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হয়েছিলেন তিনি। বনির আরও একটি রাজনৈতিক পরিচয় হল, একসময় তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। পরে বিজেপি ছেড়েছেন।
তবে সিজিও কমপ্লেক্সে ডাক পড়তেই বনি প্রসঙ্গে মুখ খুললেন বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে শুভেন্দু অধিকারী জানান, ভোটের আগে অনকে তারকাই যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। তাঁদের মধ্যে বনিও একজন। তবে গত ২ বছর ধরে বিজেপির সঙ্গে বনির কোনও সম্পর্ক নেই। পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতিতে বনির যোগের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক বলেন, ‘বনি যদি দুর্নীতি করে থাকেন, তবে তাকে সবটার মুখোমুখি হতেই হবে।’
পাল্টা টুইটে শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি ও কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে নিশানা করেন তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের ইনচার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্য। দেবাংশু টুইট করেন, ‘বনি সেনগুপ্ত যদি বিজেপি না ছাড়তেন, উনিও শুভেন্দু অধিকারীর মতো এজেন্সি থেকে ১০ হাত দূরে থাকতে পারতেন!’ বনি প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘কালো টাকা সাদা করার একটা ভালো পথ হচ্ছে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। এরা সেটাই করেছে।’
যদিও এদিন দুপুরে বনি সেনগুপ্তের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে কোনও যোগ নেই তাঁর। এদিন ইডির প্রথম দফার জেরার পর
দুপুরে মধ্যাহ্নভোজের বিরতি চলাকালীন তিনি বাইরে বেরোন। উপস্থিত সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বনি জানান, কুন্তলের সঙ্গে তাঁর পাঁচ বছরের সম্পর্ক। ২০১৭ সালে কুন্তলের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়েছিল জিরাটে একটি অনুষ্ঠান করতে গিয়েছিলেন। এক আয়োজক সংস্থা মারফৎ সেই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ এসেছিল তাঁর কাছে। পরে বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়। তার জেরেই বনিকে ওই বছরেই গাড়ি কিনতে সাহায্য করেন কুন্তল। তবে বনি জানিয়েছেন, ওই টাকার বিনিময়ে তিনি বিভিন্ন ইভেন্ট ও শো করেছেন।