আইনজীবী সঞ্জয় বসুকে তলব ইডি-র

এবার রাজ্য সরকারের প্যানেলভুক্ত আইনজীবী সঞ্জয় বসুকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। বুধবার তাঁকে ইডি দপ্তরে তলব করা হয়েছে, এমনটাই খবর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সূত্রে। এখানে বলে রাখা শ্রেয়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ মামলার আইনজীবী এই সঞ্জয় বসু। প্রসঙ্গত, এর আগে ১ মার্চ প্রায় ২৩ ঘণ্টা সঞ্জয় বসুর আলিপুরের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। ইডি-র তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, মূলত দু’টি চিটফান্ড কেলেঙ্কারি মামলার সূত্রে এই তল্লাশি চলেছিল। শুধু ওই আইনজীবীর বাড়িতেই নয়, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চলে এই তল্লাশি। ইডি পরবর্তীতে জানায় এই মামলায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে। একইসঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কিছু ডিজিটাল ডিভাইস। সেই সূত্র ধরেই বুধবার কলকাতায় সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে সঞ্জয় বসুকে ডাকা হয়েছে বলে ইডি সূত্রের খবর।

এখানে এটাও বলে রাখা প্রয়োজন, শহরের হাইপ্রোফাইল আইনজীবী সঞ্জয় বসু। তবে গত ১ মার্চ দিল্লি থেকে ইডির এক প্রতিনিধি দল আলিপুর বর্ধমান রোডের অভিজাত আবাসনে ওই আইনজীবীর বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে ঢোকে। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল তাঁর আবাসন বোগেন ভিলায় প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে বাইরে মোতায়েন করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী।এমনকী কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে মোতায়েন করা হয় বিরাট পুলিশ বাহিনীও। এরপর রাতভর চলে তল্লাশি। এরপর সেদিন রাত আড়াইটে নাগাদও এক ইডি কর্তাকে ওই আইনজীবীর বাড়িতে ঢুকতে দেখা যায়। পরদিন বেলা অবধি তল্লাশি চলে বলে সূত্রের দাবি। এই তদন্তে কিছু নথি ইডির আধিকারিকরা নিয়ে যান বলেই সূত্রের খবর।

সঞ্জয় বসুর বাড়িতে ইডির তল্লাশি নিয়ে সরব হতে দেখা যায়  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। নবান্ন থেকে এক সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘আমার সরকারি আইনজীবী সঞ্জয়। অনেক সরকারি কাগজ ওর কাছে আছে। মামলার কাগজ।’ এই প্রসঙ্গে টেনে আনেন মেঘালয় বিধানসবা নির্বাচন প্রসঙ্গও। বলেন, ‘১ মার্চ থেকে মেঘালয়ের ফল ঘোষণা পর্যন্ত তল্লাশি চলছে। ভাবা যায়? এটা কি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়? ও আমারও আইনজীবী, আমার সরকারের আইনজীবী।’ একইসঙ্গে মমতা  এ প্রশ্নও কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশে ছুড়ে দিয়ে জানতে চান, ‘আমি জানতে চাই ‘কেয়া কেয়া মিলা, কেয়া কেয়া লেকে গিয়া?’ বলছে, ‘কুছ নেহি মিলা। খালি আপলোগোকে বারে মে কোয়েশচেন পুছ রহা থা। ওউর হামারে ঘর কো তছনছ করতে গিয়া।’ সঙ্গে এও জানান. ‘একজন আইনজীবী, যদি কোনও কেস লড়েন, তাঁর জন্য তো টাকা নেবেনই। এটাই তো তাঁর অধিকার। একটা কেসে ও টাকা ফেরতও দিয়ে দিয়েছে। এটা শুধু মানুষকে হেনস্থা করার জন্য। সর্বক্ষেত্রে বিরক্ত করার জন্য।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine + 7 =