ফের শহরে ইডির তল্লাশি। মঙ্গলবার সাত সকালে তিন জায়গায় হানা দিল ইডি। বকেয়া পিএফ ও জুটমিলে ভুয়ো ডিরেক্টর সংক্রান্ত মামলায় এদিন সকাল থেকে কলকাতা-সহ একাধিক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ তদন্তের সূত্রেই চলছে তল্লাশি অভিযান চলছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিন সকাল ৭ টা থেকে হাওড়ার সাঁকরাইলের ডেল্টা জুটমিল এবং বালিগঞ্জে জুটমিলের মালিকের বাড়িতে তল্লাশি শুরু করেছে ইডি। কলকাতার কাউন্সিল হাউস স্ট্রিটে জুটমিলের অফিসেও তল্লাশি করছেন ইডি আধিকারিকরা। পিএফের টাকা না পাওয়ার অভিযোগ করেছিলেন জুটমিলের অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকরা। ২১ কোটি টাকা বকেয়া থাকার অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নেমেছে ইডি।
অভিযোগ, ২০১১ সালের পর থেকে জুটমিলের শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা কাটা হলেও সেই টাকা পিএফ তহবিলে জমা পড়েনি। জুটমিলের ডিরেক্টরও ভুয়ো বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, শ্রমিকরা যাকে ডিরেক্টর বলে চিহ্নিত করছেন, সেই মিলন দুয়ারী নিজেকে ডিরেক্টর বলে স্বীকার করতে চাইছেন না। গোটা ঘটনাটির তদন্তে নেমেছে ইডি। এই মিলের মালিক সুনীল ঝুনঝুনওয়ালার বালিগঞ্জের বাড়ি এবং অফিসেও একযোগে চলছে তল্লাশি। এর আগে সিরিয়াস ফ্রড ইনভেস্টিগেশন অফিস (এসএফআইও) প্রাথমিক তদন্ত করেছিল। এই সংক্রান্ত মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে রাত ১০ টা পর্যন্ত চলে শুনানি। ‘ডেল্টা লিমিটেড’ এবং ‘ওলিসা রিয়্যালিটি প্রাইভেট লিমিটেড’ নামক দুই সংস্থার পাঁচ জন ডিরেক্টরকে তলব করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এসএফআইও-কে অভিযুক্ত পাঁচ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
অভিযুক্ত দুই সংস্থার বিরুদ্ধে ইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তিনি এসএফআইও-কে এফআইআর দায়ের জন্য হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ জানাতে বলেন। একইসঙ্গে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। হাইকোর্টের নির্দেশেই মঙ্গলবার সকাল থেকে তিন জায়গায় হানা দিয়েছে ইডি।