নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সোমবার সকাল থেকেই দুর্নীতিকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’-র প্রাক্তন অফিস ‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডে’ হানা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী গোয়েন্দা সংস্থা ইডির। শুধু তাই নয়, সুজয়ের আলিপুরের ফ্ল্যাট ও জামাইয়ের ফ্ল্যাটেও চলেছে তল্লাশি। নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডের ‘কিংপিং’-কে তা খুঁজে পেতেই এই তল্লাশি বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বারবার এই সংস্থার নাম সামনে এসেছে। এমনকী সারদা কেলেঙ্কারির সময়ও এই সংস্থার নাম উঠে এসেছিল। ২০১৬ সাল পর্যন্ত এই সংস্থার অন্য়তম ডিরেক্টর ছিলেন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। পরবর্তীতে তিনি পদত্যাগ করেন। কিন্তু ‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডে’র তিনি যুক্ত ছিলেন তা একাধিকবার ক্যামেরার সামনে স্বীকার করে নেন। ইডি আধিকারিকদের দাবি, ‘কালীঘাটের কাকু’-র সংস্থা ‘এসডি কনসালটেন্সির সঙ্গে ‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্সের’ আর্থিক লেনদেনের হদিশ মিলেছে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির সূত্রে এও জানানো হয়েছে যে, ২০২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২১ জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ‘এসডি কনসালটেন্সি’ থেকে প্রায় ৯৫ লক্ষ টাকা ঢুকেছে ‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডে’। এসডি কনসালটেন্সিকে ব্যবসায়ী পরামর্শ দেওয়ার জন্যই ‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডে এই টাকা ঢুকেছে। শুধু তাই নয়, মহিষবাথানে মার্লিন গ্রুপের একটি প্রজেক্টে এসডি কনসাল্টটেন্সি কিছু জানালা সরবরাহ করে। পরবর্তীতে মার্লিন গ্রুপের কর্ণধারদের জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, খাতায় কলমে যে ব্যবসায়িক ডিল দেখানো হয়েছে তার কাগজ পত্র ভুয়ো। ফলে ‘কালীঘাটের কাকুর’ বিভিন্ন ‘ডেরা’ থেকে এ দিন যাবতীয় তথ্য খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।