বুধবার সকালেই ফের ইডির হানা শহরে। সূত্রের খবর, ই-নাগেটস গেমিং অ্যাপ প্রতারণা কাণ্ডে এ দিন সকাল পৌনে আটটা নাগাদ চারজন ইডি আধিকারিক সিক্স ই কেয়াতলা রোডে হানা দেন। এরপরই শুরু হয় তল্লাশি। শুধু কেয়াতলা রোডেই নয়, পাশাপাশি শহরের আরও বিভিন্ন জায়গায় চলছে তল্লাশি। ইডি সূত্রে খবর, সিক্স ই কেয়াতলা রোড-এই বাড়িতেই বাস করেন অনিরুদ্ধ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বর্তমানে কলকাতা পৌরসভার বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত। সূত্রে এ খবর মিলছে, ই-নাগেটস গেমিং অ্যাপ প্রতারণা কাণ্ডে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য জানার চেষ্টা করছেন আধিকারিকরা। এমনকী বেশ কিছু নথিপত্র খতিয়ে দেখছেন তারা। শুধু তাই নয়, অনিরুদ্ধ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড়িয়াহাটের আরও একটি বাড়িতেও শুরু হয় তল্লাশি।
প্রসঙ্গত, গেমের নামে কোটি কোটি টাকার জালিয়াতি। গার্ডেনরিচের একটি বাড়ির খাটের তলা থেকে বান্ডিল বান্ডিল নোট বেরনোর পর যে অভিযোগ প্রকাশ্যে তাতে অবশেষে জমা পড়ে চার্জশিট। সেখানেই ‘ই- নাগেটস’ নামে একটি গেমের নামে জালিয়াতি করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর ব্যাঙ্কশাল কোর্টে সেই মামালার চার্জশিট জমা দেওয়া হয় কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে। চার্জশিটে আমির খানের নাম মূল অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়। মোট ১৭৩৭ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় ওই চার্জশিটে। বাজেয়াপ্ত হওয়া টাকার অঙ্ক ৪৭ কোটি। ১১০০ পাতার ওই চার্জশিটে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, তিনটি গেমের নাম বদলে জালিয়াতি করা হত। আর্থিক প্রতারণার অভিযোগের তদন্তে গার্ডেনরিচে তল্লাশি চালানোর সময় টাকার সন্ধান পায় কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। মূল অভিযুক্ত আমির খানের বাড়িতে খাটের তলা থেকে নগদ মোট ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়।