পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে এবার সক্রিয় ইডি

পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করতে এবার কোমর বেঁধে নামছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আর সেই কারণে এনফোর্সমেন্ট কেস ইনফরমেশন রিপোর্ট অর্থাৎ ইসিআইআর নথিভুক্ত করতে সিবিআই-এর কাছে পুর দুর্নীতি নিয়ে এফআইআরও চেয়ে পাঠানো হল ইডি-র তরফ থেকে। ইডি সূত্রে এও জানানো হয়েছে এই এফআইআর পেলেই এনফোর্সমেন্ট কেস ইনফরমেশন রিপোর্টনথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করবে ইডি।
এদিকে ইতিমধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতিতে মিডলম্যান অয়ন শীলের থেকে পুরসভার নিয়োগের প্রচুর নথি উদ্ধারের বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট দিল্লির সদর দপ্তরে পাঠিয়েছে ইডি। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত অয়ন শীলের সংস্থার সঙ্গে রাজ্যের একাধিক পুরসভার প্রত্যক্ষভাবে যোগসাজশ ছিল বলে ইডি-র তদন্তে সামনে চলে এসেছে।
এখানে বলে রাখা শ্রেয়, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের আগে কলকাতা পুরসভা ছাড়া রাজ্যের কোন পুরনিগম বা মিউনিসিপ্যালিটি মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনের অন্তর্গত ছিল না। সেই সময় কলকাতা ছাড়া বাকি পুরসভা গুলিতে কর্মী নিয়োগের দায়িত্ব নিজ নিজ পুরসভার চেয়ারম্যান বা সেই প্রতিষ্ঠান গঠিত কমিটি স্থির করত। এখানেই তদন্তে নেমে ইডি আধিকারিকরা যা জানতে পেরেছেন বা তাঁদের হাতে যে সব তথ্য এসেছে তা হল, উত্তর ২৪ পরগনার ৬ পুরসভার প্রতি স্তরে নিয়োগে হাজার হাজার চাকরি বিক্রি হয়েছে। পুরসভার গাড়িচালক থেকে টাইপিস্ট সব পদে লক্ষ লক্ষ টাকায় চাকরি বিক্রি হয়েছে বলেও দাবি করা হয় ইডির তরফ থেকে। আর এই দাবি একেবারে আদালতেই করা হয় ইডি-র তরফ থেকে। এরই পাশাপাশি অয়ন শীলকে আদালতে পেশ করার সময়ে আধিকারিকরা আদলতে এও জানিয়েছিলেন, ‘এই প্রোমোটারের অফিস থেকে পুরসভা নিয়োগেও দুর্নীতির হদিশ মিলেছে।’ এই তদন্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে এও দাবি করা হয়, দমদম, দক্ষিণ দমদম, উত্তর দমদম, বরানগর, হালিশহর, কামারহাটি পুরসভার নিয়োগেও অনিয়ম হয়েছে। এবার এই মামলায় এবার সরাসরি তদন্ত করতে প্রস্তুত ইডি আধিকারিকরা। এর আগে এদিকে, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পুরনিয়োগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই মামলা শুনানি শোনার অধিকার আছে কি না তা নিয়ে একটা প্রশ্ন চিহ্ন তুললেও নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আপাতত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রেখেছেন। প্রসঙ্গত, শীর্ষ আদালতে এই মামলার পরবর্তী শুনানি শুক্রবার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 − twelve =