অয়ন শীলের যে সম্পত্তির হদিশ মিলেছে এবার সেই তথ্য সামনে এনে চার্জশিট পেশ করা হতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফ থেকে অন্তত এমনটাই সূত্রে খবর। পাশাপাশি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে যে, প্রায় ১২ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ মিলেছে এই চার্জশিটে। যার মধ্যে ১০ কোটি রয়েছে স্থাবর সম্পত্তি হিসেবে। অর্থাৎ, এগুলি হল মূলত ফ্ল্যাট, জমি, বাড়ি, গাড়ি। বাকি ২ কোটি টাকার বেশি রয়েছে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।
এদিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও এক ‘মিডলম্যান’ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২ কোটি টাকার বেশি সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে ইডি। সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত হুগলির প্রমোটার অয়ন শীলের ৫০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। ইতিমধ্যেই সেই অ্যাকাউন্টগুলির খোঁজখবর করা শুরু করেছেন ইডি আধিকারিকরা। মূলত শান্তনুকে গ্রেপ্তার করার পরই তথাকথিত প্রোমোটার হিসেবেই পরিচিত অয়ন শীলের হদিশ পান তদন্তকারীরা। কারণ, অয়ন সূত্র মেলে শান্তনুর ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসেবেই। এরপরই গত ১৯ মার্চ তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে এই গ্রেপ্তারির আগে দীর্ঘ ৩৭ ঘণ্টা ধরে তল্লাশিও চলে তাঁর বাড়িতে। অয়নের অফিস থেকে উদ্ধার হয় বেশ কিছু নথি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে আসে বেশ কয়েক জন এজেন্টের নামও। এরই পাশাপাশি তদন্তকারীদের হাতে উঠে আসে, উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটির বাসিন্দা, কামারহাটি পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার শ্বেতা চক্রবর্তীর নাম। এরপর তাঁকেও ইডি-র তরফ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এখানে বলে রাখা শ্রেয়, অয়নের প্রযোজিত ‘কাবাড্ডি কাবাড্ডি’ নামক একটি সিনেমাতেও অভিনয় করেন এই শ্বেতা।
এদিকে, তদ্ত যত এগিয়েছে ততই একের পর এক নতুন সূত্র এসেছে তদন্তকারীদের হাতে। অয়ন শীলের ছেলে অভিষেকের বান্ধবী ইমনের নামও সামনে আসে। অভিষেকের পেট্রল পাম্প ও হোটেল ব্যবসায় সমান অংশীদারিত্ব রয়েছে এই ইমনের। শুধু তাই নয়, এও জানা যায়, একের পর এক পুরসভায় নিয়োগ প্রক্রিয়ার টেন্ডারও পেয়েছিলেন অয়ন শীল। এই টেন্ডার পাওযার পিছনে কার ভূমিকা রয়েছে তাও এবার খতিয়ে দেখতে চান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। অয়নের অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া নথি থেকে বেশ কয়েক জন এজেন্টের নামের তালিকা হাতে পেয়েছে ইডি। বর্তমানে ইডি হেপাজতে অয়ন। কীভাবে তাঁর এই বিপুল সম্পত্তি তার খতিয়ে দেখার কাজ এখনও অব্যাহত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে।