শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ৩০০ পাতার চার্জশিট জমা করল ইডি। এসএসসির নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার ইডির বিশেষ আদালতে এই চার্জশিট জমা দিয়েছে তারা। মূল চার্জশিটের পাশাপাশি ১৭ হাজারেরও বেশি পাতার নথিও আদালতে জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চার্জশিটে অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছে ßুñল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিন্হা, ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন রায়-সহ ১৮ জন এবং ৯০টির বেশি সংস্থার নাম।
চার্জশিটে অভিযুক্তের সংখ্যা ১০০ জনের বেশি। ইডি মনে করছে, এই মামলায় একাদশ-দ্বাদশ অযোগ্য প্রার্থীদের সংখ্যা ১১২০ জনের কাছাকাছি। নবম-দশমে সেই সংখ্যা ৯৪৬ জনের কাছাকাছি। এই মামলায় একাধিক ‘এজেন্ট’ এবং ‘মিডলম্যান’ জড়িত রয়েছেন বলেও চার্জশিটে দাবি করেছে ইডি।
উল্লেখ্য, নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ২০২২ সালের ১০ অগস্ট এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন প্রধান শান্তিপ্রসাদকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। তার আগে ওই বছরের ৩ এপ্রিল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়ার অভিযোগ ছিল শান্তিপ্রসাদের বিরুদ্ধে। গ্রুপ সি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। নিয়োগ সংক্রান্ত যে উপদেষ্টা কমিটি তৈরি করেছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তার চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়েছিল শান্তিপ্রসাদকে। অভিযোগ, তাঁর আমলেই মূলত নিয়োগ দুর্নীতি হয়।
অন্য দিকে, নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত দু’টি মামলার তদন্তে নেমে প্রসন্নের নাম পেয়েছিল সিবিআই। গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলা এবং নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগ মামলা। প্রসন্নকে এর পরে গ্রেপ্তারও করেছিল সিবিআই। তবে গ্রেপ্তার করা হলেও প্রসন্নের বিচার শুরু হয়নি। চার্জশিট দেওয়ার পর নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলেও তার প্রেক্ষিতে কোনও পদক্ষেপ না করায় বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন প্রসন্ন। বেশ কিছু শর্ত দিয়ে সিবিআইয়ের মামলায় তাঁকে জামিন দেয় শীর্ষ আদালত। এর পর তাঁকে ইডি গ্রেপ্তার করে। শান্তিপ্রসাদ এবং প্রসন্ন, দু’জনকেই দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। আদালতে ইডির জমা দেওয়া চার্জশিটে উঠে এল তাঁদের নাম।