ব্যাঙ্ক জালিয়াতি মামলায় ধৃত কৌশিক নাথকে সঙ্গে নিয়ে তার কোথায় কি সম্পত্তি রয়েছে, তা চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করল ইডি। সোমবার মেডিক্যাল টেস্টের পর কৌশিককে নিয়ে প্রথমে ইডি টিম পৌঁছে যায় কালিকাপুরে। সেখানে একটি ফ্ল্যাটে যান তাঁরা। এরপর টিম যায় গড়ফার কায়স্থ পাড়ায়। সেখানেও একটি ফ্ল্যাট চিহ্নিত করা হয় বলে ইডি সূত্রে খবর। প্রসঙ্গত এই গড়ফা এলাকাতে অনেক বছর আগে থাকতেন কৌশিক। দিনভর দক্ষিণ কলকাতার একাধিক জায়গা ঘুরে পাঁচটি সম্পত্তি চিহ্নিত করা হয় বলে দাবি ইডির ।
এই প্রসঙ্গে ইডি-র তরফ থেকে এও জানানো হয়, এর বাইরেও একাধিক সম্পত্তি আছে, যা আগামী দিনে চিহ্নিত করা হবে। প্রসঙ্গত, ৩০ মার্চ দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার করা হয়েছিল কৌশিক নাথকে। ১০ এপ্রিল পর্যন্ত কৌশিকের ইডি হেপাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
প্রসঙ্গত, এই কৌশিকের কর্মজীবনের শুরু এক সাধারণ ব্যবসায়ী হিসেবেই। এরপর হঠাৎ-ই ফুলেফেঁপে ওঠে তাঁর ব্যবসা। এর পিছনে ছিল কোটি কোটি টাকা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়া এবং তা পরিশোধ না করা। এমনকি নথি জাল করে ঋণ নেওয়ার মতো ঘটনা। এই জালিয়াতির জাল বিস্তৃত কলকাতা থেকে সুদূর বাণিজ্যনগরী মুম্বই পর্যন্ত অন্তত এমনটাই অভিযোগ ইডি-র তদন্তকারী আধিকারিকদের।
এই প্রসঙ্গে এটাও বলতে হয় যে, কৌশিক নাথের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে কলকাতা পুলিশে মামলা দায়ের হয়। এই মামলায় যাদবপুর থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল নথি জাল করে গাড়ি, বাড়ি সহ একাধিক ক্ষেত্রে বিনিয়োগের জন্য দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাকে। কলকাতাতেও তার বিরুদ্ধে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির অভিযোগ ছিল। এদিকে তার বিরুদ্ধে অসমেও ৫০০ কোটি টাকা প্রতারণার মামলা রয়েছে। অসম পুলিশ গ্রেফতারও করেছিল। এরপর ২০১৮ সালে মুম্বইয়ে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি মামলায় পাঁচজন গ্রেপ্তার হয়েছিল, তাতেও ছিল এই কৌশিকের নাম।