দীর্ঘ ৯ ঘণ্টা জেরার পরে শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতকে (Sanjay Raut) হেপাজতে নিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। জমি দুর্নীতি মামলায় এর আগেও রাউতকে সমন পাঠিয়েছিল তারা। কিন্তু রবিবার সাতসকালেই তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডির একটি দল। এরপর কয়েক ঘণ্টা ধরেই চলছিল জেরা। অবশেষে বিকেল গড়াতে না গড়াতেই তাঁকে ইডি হেপাজতে নেওয়া হল।
পাত্র চাউল জমি দুর্নীতি মামলায় বেশ কিছুদিন ধরেই ইডির (ED) স্ক্যানারে আছেন সঞ্জয়। এর আগে তাঁকে, তাঁর স্ত্রী এবং ঘনিষ্ঠদের একাধিকবার নোটিস পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এমনকী এর আগে সঞ্জয়ের স্ত্রী এবং ঘনিষ্ঠদের প্রায় ১২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্তও করে ইডি। এমনকী মহারাষ্ট্রে একনাথ শিণ্ডে সরকারের শপথের পরদিনই টানা ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রাউতকে। যদিও শেষ দুটি সমনে তিনি ইডি দপ্তরে হাজিরা দেননি। সংসদে অধিবেশন থাকায় হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয় বলে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে জানান শিব সেনা সাংসদ। তারপরই রবিবার সদলবলে ইডি আধিকারিকরা তাঁর ভান্ডুবের বাড়িতে হানা দেন।
ইডি হানা দেওয়ার পরই সঞ্জয় রাউত টুইটারে ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানান, ‘ভুয়ো অভিযোগ, মিথ্যে পদক্ষেপ। আমি শিব সেনা ছাড়ব না। এমনকী আমি যদি মরেই যাই, আত্মসমর্পণ করব না। আমি কোনও কেলেঙ্কারির সঙ্গেই যুক্ত নই। শিব সেনা প্রধান বালাসাহেব ঠাকরের নামে শপথ নিয়ে বলছি। বালাসাহেব আমাদের লড়তে শিখিয়েছেন। আমি শিব সেনার হয়ে লড়াই চালিয়ে যাব।’
শিবসেনা যদিও প্রথম থেকেই অভিযোগ করছে, রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্যই কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে ব্যবহার করছে বিজেপি সরকার। তাদের আরও দাবি, সঞ্জয় রাউত একনাথ শিন্ডে শিবিরে যোগ দেননি বলেই এই সব অভিযোগ উঠছে। জুলাইয়ের শুরুতে শিবসেনা ছেড়ে একের পর এক বিধায়ক যোগ দিয়েছেন শিন্ডে শিবিরে। ফলে মহারাষ্ট্রে পতন হয় উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন মহাবিকাশ অঘাড়ি জোট সরকারের।