কল সেন্টার মামলায় এবার কুণাল গুপ্তাকে গ্রেফতার করল ইডি। সোমবার কুণাল গুপ্তাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে বিশেষ ইডি আদালতের দ্বারস্থ হয় এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি-র বক্তব্য, কুণাল ভুয়ো কল সেন্টার চালিয়ে বিদেশি নাগরিকদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে ও কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। এবার ইডি-র মূল লক্ষ্য হল কোথায় কোথায় পাঠানো হয়েছে সেই টাকা তার তথ্য জানতে চায় তাঁরা। প্রসঙ্গত, প্রথমে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানা ভুয়ো কলসেন্টার চক্রের পর্দাফাঁস করে। কুণাল গুপ্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগে তলব করেছিল সিআইডি। সে সময়ে কুণাল গুপ্তা তদন্তকারীদের জানান, তাঁকে হাইকোর্টে হাজিরা দিতে হবে। তাই তিনি দফতরে যেতে পারবেন না। যদিও হাইকোর্ট সেসময়ে স্পষ্ট করে দেয়, কুণাল গুপ্তার আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা নেই। এরপর কুণাল বাধ্য হয়েই হাজিরা দেন। তখন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। কুণালের বিরুদ্ধে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। এই মামলার খোঁজখবর করা শুরু করে ইডি। তদন্তে নেমে ইডি কুণাল গুপ্তার ১৫০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পায়। কুণালের অফিস, সংস্থার প্রাক্তন কর্মীদের বাড়ি-সহ ১০ জায়গায় তল্লাশিও চালান তদন্তকারীরা। পাশাপাশি কুণালের দুবাই-সহ একাধিক দেশে বাড়িরও হদিশ মেলে। ইডি আধিকারিকরা মনে করছেন, কল সেন্টারের মাধ্যমে প্রতারণার টাকা মূলত বিদেশেও পাচার হয়েছে। মূলত কুণালের চক্র টেক সাপোর্ট দেওয়ার নাম করে বিদেশি নাগরিকদের ফোন করত। তারপর তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ডিটেইল নিয়ে প্রতারণা করত। সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে গত কয়েক মাসে এই ধরনের একাধিক কলসেন্টারে হানা দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। এবার সেই চক্রের কিংপিন কুণালের বিরুদ্ধে তদন্তে ইডি।