সন্ধেবেলা রোজের মুড়ি! আদৌ ভালো অভ্যাস তো?

সন্ধে হলেই চানাচুর, লঙ্কা দিয়ে মুড়ি মাখা। সঙ্গে গরমাগরম চা। এরসঙ্গে চপ, বেগুনি হলে তো কথাই নেই।

অফিস হোক কিম্বা বাড়ি, বহু বাঙালি আছেন মুড়িপ্রেমী। গ্রামাঞ্চলে এখনও প্রাতরাশ কিম্বা রাতের খাবার তরকারি দিয়ে মুড়ি খাওয়ার চল চলে আসছে যুগ যুগ ধরে।

কিন্তু এই যে মুড়ি (Puffed Rice) খাচ্ছেন, জানেন কি কার গুণ কতটা আর ক্ষতিকর দিক কী!

ক্ষতিকর দিক- মুড়ির জগতে লালচে ছিটে মুড়ি যেমন আছে, তেমনই আছে দুধ সাদা ফোলা মুড়িও।দুধ সাদা স্বাদু এই মুড়ি খেলেই কিন্তু বিপদ! কারণ, এই মুড়ি ভাজতে ব্যবহার হয় ইউরিয়া। যা প্রতিদিন মুড়ির সঙ্গে শরীরে গেলে ক্ষতিকর।

মুড়ি খেলে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়তে পারে। তাই মুড়ি এড়িয়ে চলেন অনেকেই।

তবে লাল, ঘরে ভাজার মুড়ির গুণও যথেষ্ট।

১. অম্বলের সমস্যা কমাতে পারে মুড়ি। নিয়মিত মুড়ি খেলে পেটে অ্যাসিডের ক্ষরণে ভারসাম্য আসে। বেশি অম্বল হলে মুড়ি জলে ভিজিয়ে খান অনেকেই। তাতে দ্রুত আরাম মেলে।তাছাড়া ডায়েটেও চলতে পারে মুড়ি। এরসঙ্গে ছোলা ভেজানো, শশা, গাজর মাখিয়ে নিলে বেড়ে যাবে পুষ্টিগুণ।

২. হাড় মজবুত করতেও মুড়ি কার্যকর। মুড়িতে রয়েছে ভরপুর ক্যালশিয়াম। হাড়ের যত্নে মুড়ির ভূমিকা তাই অন্যতম।

৩. মুড়িতে ক্যালোরির মাত্রা অনেক কম। খিদে পেলে অল্প মুড়ি খেলেই পেট ভরে যায়। ক্যালোরির মাত্রা কম বলে মুড়ি খেলে ওজন বাড়ে না। যাঁরা হালকা খাবার হিসাবে নিয়মিত মুড়ি খান, তাঁদের পক্ষে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ।

৪. রোজ মুড়ি খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে রক্তচাপও। এতে সোডিয়ামের মাত্রা কম। ফলে এটি খাওয়ার পরে পেট ভরলেও রক্তচাপ বাড়ে না।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − 6 =