একসপ্তাহ খান চিয়া সিড, তফাৎ দেখুন নিজেই

পুষ্টিগুণে ভরপুর, ভরপুর খনিজেও। সুপার ফুড চিয়া সিড (Chia Seed)।
হরেক রকম পুষ্টিগুণের ভাণ্ডার হিসেবে ক্রমেই বাড়ছে চিয়া বীজের জনপ্রিয়তা। ‘সালিভা হিসপানিকা’ নামক উদ্ভিদ থেকে এই বীজ পাওয়া যায়।

চিয়া সিডের গুণ

অ্যান্টি অক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ- চিয়া সিডে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যা বার্ধক্য প্রতিরোধক। তাই তারুণ্যে ভরপুর শরীর-স্বাস্থ্য চাইলে অবশ্যই চিয়া সিড খান।চিয়া সিড ত্বক টানটান করতে ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতেও কার্যকর।

ক্যানসার প্রতিরোধক- একটি বিশেষ ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধেও চিয়া সিড গুরুত্বপূর্ণ বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

বলিরেখা দূর করে- চিয়া সিডে এমন পুষ্টিগুণ আছে যা শরীরকে পুষ্টি জোগানোর পাশাপাশি ত্বকের বলিরেখা, কুঁচকে যাওয়া ভাব প্রতিরোধেও সাহায্য করে।

ওজন হ্রাসে অব্যর্থ- সকালে খালি পেটে দু চামচ ভেজানো চিয়া সিড, লেবুর রস দিয়ে খেলে ওজন কমতে বাধ্য। এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। যা পেট ভরিয়ে বাড়তি ক্ষিদে কমিয়ে দেয়। পাশাপাশি কোষ্টকাঠিন্য দূর করে পেট পরিষ্কার রাখতে সহায়ক।

হার্ট ভালো রাখে- এতে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সহ অসংখ্য উপাদান হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে। খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে, ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়।

হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে- ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম-সহ অসংখ্য খনিজ এতে থাকায় হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও চিয়া সিড উপযোগী।

ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে- ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণেও চিয়াসিড খুব ভালো।টাইপ টু ডায়াবেটিস-এ যাঁরা ভুগছেন তাঁরা সকালের ব্রেকফাস্ট-এ অবশ্যই একটু চিয়া সিড মিশিয়ে নিতে পারেন।

কীভাবে খাবেন-

জলে ভিজিয়ে-এক চামচ চিয়া সিড জলে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেটা খালি পেটে ইষদুষ্ণ গরম জলে লেবুর রসের সঙ্গে খান।

সরাসরি বীজ খাওয়া যায়- ব্রেকফাস্টের সময় খাবারেও এই বীজ সরাসরি মিশিয়ে নিতে পারেন।

রুটিতে- আটা মাখার সময় মিশিয়ে দিতে পারেন এই বীজ।

তবে প্রচুর পরিমাণে এই বীজ খাওয়া ঠিক নয়। প্রতিদিন ১ চামচ চিয়া সিড জলে ভিজিয়ে খেলে ভালো ফল মিলবে। খুব জোর ২ চামচ খাওয়া যেতে পারে। তার বেশি কখনও নয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − 5 =