প্লে-অফের দৌড়ে পুরোপুরি বিদায় ইস্টবেঙ্গলের। এখান থেকে কোনও অঙ্কও কাজ করবে না। জটিল অঙ্কে টিকে ছিল ইস্টবেঙ্গল। প্রয়োজন ছিল বাকি দু-ম্যাচেও ফুল পয়েন্ট। এরপরও অবশ্য অন্য দলের রেজাল্টের দিকে তাকিয়ে থাকতে হত। এখন আর সেই সুযোগও নেই। ঘরের মাঠে এ দিন বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে ড্র। দিয়ামান্তাকোসের রেড কার্ড। দশ জনে মরিয়া লড়াই। শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে সুনীল ছেত্রীর গোল। এ মরসুমের মতো আশা শেষ ইস্টবেঙ্গলের। আর একটা স্রেফ নিয়মরক্ষার ম্যাচ রয়েছে। এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের প্রস্তুতির সুযোগও বলা যায়।
প্লে-অফের আশা অনেক আগেই ছেড়ে দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল। সেটা যদিও মুখেই বলছিলেন। আসল লক্ষ্য ছিল একটা করে ম্যাচ নিয়ে ভাবা। আইএসএলে ইস্টবেঙ্গল প্রথম বার জয়ের হ্যাটট্রিক করায় সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হয়েছিল। কিন্তু টানা চার ম্যাচে জয় হল না। রেফারিং নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। আবারও একই প্রশ্ন।
ম্যাচের ১১ মিনিটেই মেসি বৌলির গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে দিমিত্রিয়স দায়ামান্তাকোসের রেড কার্ড প্রবল চাপে ফেলে লাল-হলুদ শিবিরকে। দ্বিতীয়ার্ধে ঘর বাঁচানোই প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়। সেটাই সেরা বিকল্প ছিল। মনে হচ্ছিল, ১০ জনের ইস্টবেঙ্গলও ম্যাচ বের করে নেবে। কিন্তু ম্যাচের ইনজুরি টাইমে পেনাল্টি। স্পট কিক থেকে গোল করেন সুনীল ছেত্রী। বেঙ্গালুরু এফসির প্লে-অফ আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। সুনীলের পেনাল্টি গোলে ইস্টবেঙ্গলের দৌড় শেষ করে দিল।