ইস্টবেঙ্গল জিতলেও গোল হজম করতেই হল

ডার্বির আগে দু-দলেরই জয়। মোহনবাগান পিছিয়ে থেকেও শেষ মুহূর্তে নাটকীয় জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় ইস্টবেঙ্গল ও শ্রীনিধি ডেকান। ইস্টবেঙ্গল শিবিরে যেন অলিখিত স্লোগান ছিল, গোল খাওয়া যাবে না। প্রথমার্ধে সেই লক্ষ্যে সফল লাল-হলুদ শিবির। উল্টে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধে সেই লক্ষ্যে সফল হতে পারল না লাল-হলুদ। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে গোল। জিতলেও গোল খাওয়ার রোগ সারল না ইস্টবেঙ্গলের। ডার্বির আগে ইস্টবেঙ্গলও জিতল ২-১ ব্যবধানেই।

ম্যাচের মাত্র ১২ মিনিটেই এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। নীশু কুমারের ফ্রি-কিক থেকে হেডে গোল করেন হিজাজি। ফ্রি-কিক যেমন দুর্দান্ত ছিল তেমনই বুদ্ধিদীপ্ত হেডার। ক্রসবারের সামান্য নীচে। গোলকিপার লাফিয়েও আটকাতে ব্যর্থ। প্রথম গোল পেতেই আত্মবিশ্বাস বাড়ে ইস্টবেঙ্গলের। গত সাত ম্যাচেই অপরাজিত ইস্টবেঙ্গল। এ দিন ম্যাচের ১৭ মিনিটে ব্যবধান বাড়াতে পারত ইস্টবেঙ্গল। দুর্দান্ত সুযোগ পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ বোরহা হেরেরা। তেমনই ২৪ মিনিটে সুযোগ পেয়েছিলেন নন্দকুমারও। তাঁর হেড ঠিকঠাক কানেক্ট হয়নি। অবশেষে দ্বিতীয় গোল ৩১ মিনিটে। মাঝ মাঠ থেকে লম্বা বল, হেডে নামান ক্লেটন সিলভা। পাশেই ছিলেন সিভেরিও। জোরালো শটে জালে বল জড়ান সিভেরিও। এত দ্রুত সবটা ঘটায় প্রতিপক্ষ গোলকিপার কিছুই করে উঠতে পারেননি।

জোড়া গোলে এগিয়ে থাকায় দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা সতর্ক শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। নিজেদের ঘর আগলানোই মূল লক্ষ্য ছিল। তবে কাউন্টার অ্যাটাকে দুর্দান্ত সুযোগও তৈরি করেছিল। শ্রীনিধি ডেকান ডিফেন্স কোনওরকমে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তবে গোল না খাওয়ার রোগ থেকে বেরোতে পারল না ইস্টবেঙ্গল। অ্যাডেড টাইমে অজয় ছেত্রীর ভুলে পেনাল্টি উপহার দিল ইস্টবেঙ্গল। সেটা থেকে গোল করতে ভুল করেননি শ্রীনিধির উইলিয়াম অলিভিয়েরা।

গ্রুপ থেকে একটা দল সেমিফাইনালে যাবে। এ দিন দু-দলই জিতেছে ২-১ ব্যবধানে। ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের পয়েন্ট এবং গোলপার্থক্য সমান। শুক্রবার কলকাতা ডার্বি গ্রুপ এ-র কার্যত ‘কোয়ার্টার ফাইনাল’! ইস্টবেঙ্গল ড্র করলেই সেমিফাইনালে যাবে। কারণ, ইস্টবেঙ্গল এখনও অবধি বেশি গোল করেছে। মোহনবাগানের কাছে জয় ছাড়া বিকল্প নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − 11 =