দিমি-ক্লেটনদের ছাড়াই ঝলমলে ইস্টবেঙ্গল, নক আউটের পথে তালালরা

এ যেন একেবারে অন্য ইস্টবেঙ্গল। ডুরান্ডের প্রথম ম্যাচে যেখানে শেষ করেছিল, ডাউনটাউনের বিরুদ্ধে সেখান থেকেই শুরু করল ইস্টবেঙ্গল। আর লাল-হলুদের হয়ে পুরো খেলা কন্ট্রোল করলেন মাদিহ তালাল। লাল-হলুদ জার্সিতে অভিষেকের পর প্রথম দুটো ম্যাচেই সেরা ফুটবলার। শেষ কবে এমন ফুটবলার এসেছে ইস্টবেঙ্গলে? অনেকে বলছেন টোলগে ওজবের কথা। তালাল শুধু গোল করছেন না। গোলের জন্য বলও তৈরি করছেন। ডাউনটাউনকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে ডুরান্ডের নক আউটের পথে ইস্টবেঙ্গল। কিশোরভারতী থেকে ডার্বির আগে গর্জন শুরু লাল-হলুদ জনতার। গ্যালারিতে মশাল জ্বালিয়ে সমর্থকরা বুঝিয়ে দিলেন, এ বারের বড় ম্যাচে তাদের প্রিয় দল কতটা শক্তিশালী।

দিমিত্রিয়স ডায়ামান্টাকোস আর ক্লেটন সিলভাকে বেঞ্চে রেখে দল সাজিয়েছিলেন কুয়াদ্রাত। প্রয়োজনে মাঠে নামানোর কথা ভেবে। ডাগ আউটে বসেই জেসিন টিকে, অমন সিকে, ডেভিডদের দাপুটে ফুটবল দেখেলেন তাঁরা। সমর্থকরাও আশ্বস্ত হলেন, এ বছর কুয়াদ্রাতের রিজার্ভ বেঞ্চ তৈরি। খেলার ২৩ মিনিটে বক্সের সামনে ফ্রি-কিক পায় ইস্টবেঙ্গল। সেখান থেকে ইস্টবেঙ্গলকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন ফরাসি সুপারস্টার। ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে প্রথম গোল তালালের। প্রথম ম্যাচে দুরন্ত পাসিং আর অ্যাসিস্টে সমর্থকদের মন জয় করেছিলেন। বুধবার ফ্রি-কিক থেকে লাল-হলুদ জনতার হৃদয় জিতলেন তালাল।

২৫ মিনিটে ডেভিড সহজ সুযোগ মিস না করলে ব্যবধান তখনই ২-০ হতে পারত। ২৯ মিনিটে ১-১ করে ডাউনটাউন। গোল হজমের পর আবার আক্রমণে ঝাঁপায় ইস্টবেঙ্গল। ৩৩ মিনিটে বিষ্ণুকে বক্সে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। সেখান থেকে ২-১ এগিয়ে দেন অধিনায়ক সাউল ক্রেসপো। বিষ্ণু চোট পাওয়ায় দ্বিতীয়ার্ধে অমনকে নামান কুয়াদ্রাত। পরের দিকে কেরলের উদীয়মান ফুটবলার আজাদকে পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামান লাল-হলুদের স্প্যানিশ কোচ। কলকাতা লিগে পরিবর্ত হিসেবে একটা ম্যাচ খেলেই কুয়াদ্রাতের নজরে আসেন। ডুরান্ডেও প্রথম দর্শনে বেশ ভালো আজাদ। টাচ এবং স্কিলে বোঝালেন ফর্ম ধরে রাখতে পারলে লম্বা রেসের ঘোড়া।

ম্যাচের ৮০ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ তথা রেড কার্ড দেখেন ডাউনটাউনের এক ফুটবলার। ১০ জনের বিপক্ষকে পেয়ে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে ইস্টবেঙ্গল। ইনজুরি টাইমে দৃষ্টিনন্দন গোল জেসিন টিকের (৩-১)। এই মুহূর্তে কলকাতা লিগের টপ স্কোরার। ডুরান্ডে দুর্দান্ত গোলের পর বন্যা বিধ্বস্ত ওয়েনাডের জন্য গোল উৎসর্গ করলেন। ২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট। গোল পার্থক্য +৪। টেবলের শীর্ষে। একরাশ আত্মবিশ্বাস নিয়ে ১৮ তারিখের বড় ম্যাচে খেলতে নামবে ইস্টবেঙ্গল। তার আগে কুয়াদ্রাতের নজরে ১৪ তারিখে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টু-র প্লে অফ ম্যাচ। ওই ম্যাচ জিতলেই গ্রুপ পর্বে কোয়ালিফাই করবে ইস্টবেঙ্গল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − twelve =