প্রতিবার ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের নিজেদের প্রিয় দল নিয়ে চিন্তায় থাকতে হয়। কোন টুর্নামেন্টে খেলবে দল সেটা বড় প্রশ্ন। প্রতিবার এই অনিশ্চয়তা আর মেনে নিতে রাজি নন লাল-হলুদ সর্মথকরা। কিন্তু অন্য উপায় নেই। দল গঠন থেকে নতুন বিনিয়োগকারী ইমামি গোষ্ঠীর সঙ্গে চুক্তি সই মসৃণ ভাবেই হবে। এমনই মনে করছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা।
মঙ্গলবার ক্লাবের কর্মসমিতির বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ফুটবল সংক্রান্ত সমস্ত কাজ যত দ্রুত সম্ভব শেষ করা হবে। আইএসএলের সব ক্লাবই দল গঠনের কাজ প্রায় সম্পূর্ণ করে ফেলেছে। অথচ বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যার জন্য দল গঠনের প্রক্রিয়া সেভাবে এগোতে পারেননি লাল হলুদ কর্তারা। এই পরিস্থিতিতে নতুন বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্ণধার আদিত্য অগ্রবাল এবং মণীশ গোয়েঙ্কার কাছে দ্রুত চুক্তি সম্পন্ন করে দল গঠনের কাজ শুরুর আবেদন জানিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। দ্রুত দলগঠন সংক্রান্ত কাজ শেষ করতে না পারলে গত দু’বছরের মতো আসন্ন মরসুমেও সাফল্য অধরা থাকতে পারে বলে আশঙ্কা ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের।
বেশ কিছু ফুটবলারের সঙ্গে কথাবার্তা হলেও এখনও চুক্তি করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। ফলে ক্লাবের সদস্য, সমর্থকদের মধ্যে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। তাই লাল হলুদ কর্তারা চাইছেন চুক্তির প্রক্রিয়ার সঙ্গেই সমান্তরাল ভাবে চলুক দল গঠনের কাজ। ইস্টবেঙ্গল সচিব কল্যাণ মজুমদার এই মর্মে ইমামি গোষ্ঠীর কাছে আবেদন করেছেন।
দল যাতে ভাল মানের হয়, তা নিশ্চিত করার অনুরোধও করেছেন তিনি। ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার জানিয়েছেন পাশের ক্লাব অর্থাৎ এটিকে মোহনবাগান ফুটবল চালনার ব্যাপারে ইমামির থেকে অভিজ্ঞতায় এগিয়ে। সেখানে ইমামী ফুটবলের বাজারে নতুন। কিন্তু তাদের সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ নেই। উল্লেখ্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই এই নতুন গোষ্ঠীর সঙ্গে কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের। মহম্মদ রফিকের পর ক্লাব ছেড়ে দিয়েছেন গোলরক্ষক শংকর রায়। আসলে অনিশ্চয়তায় থাকতে রাজি নন অনেক ফুটবলার। ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট অবশ্য আশাবাদী এই সমস্যার সমাধান তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে।