সদ্য কলিঙ্গ সুপার কাপ জিতেছে ইস্টবেঙ্গল। তাও আবার সব ম্যাচ জিতে। তার আগে আইএসএলেও ধারাবাহিক ভালো খেলছিল। টানা অপরাজিত ছিল ইস্টবেঙ্গল। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয় ডার্বি দিয়ে। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ডার্বিতে দু-বার এগিয়েও ড্র করে ইস্টবেঙ্গল। তাতেও অবশ্য নানা প্রাপ্তি ছিল। আইসএসএলের ইতিহাসে প্রথম বার ডার্বি থেকে কোনও পয়েন্ট পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। সব এনার্জি যেন ডার্বিতেই শেষ! প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গলের পরিস্থিতি ছিল তাই। দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর মরিয়া চেষ্টা ব্যর্থ। ২-৩ ব্যবধানে হার ইস্টবেঙ্গলের।
ম্যাচের ৪ ও ১৫ মিনিটে দুটি গোল হজম ইস্টবেঙ্গলের। এ মরসুমে ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্স ঈর্ষণীয়। এর আগে পাঁচ ম্যাচে ক্লিনশিট রেখেছিল তারা। যদিও ডিফেন্সই হতাশা তৈরি করল নর্থ ইস্ট ম্যাচের শুরুতে। প্রথম গোলটি করেন অস্ট্রেলিয়ার টমি ইউরিচ। ১৫ মিনিটে নর্থ ইস্টের হয়ে ব্যবধান বাড়ান নেস্টর। নর্থ ইস্টের গতির কাছে বারবার পরাস্থ হয় ইস্টবেঙ্গল। মাঝ মাঠে সৌভিকের মতো অভিজ্ঞ মিডফিল্ডারের না থাকা সমস্যার হয়ে দাঁড়াল। তার উপর এই ম্যাচে কার্ড দেখলেন ক্লেটন সিলভা। পরের ম্যাচে পাওয়া যাবে না ক্যাপ্টেনকে।
দ্বিতীয়ার্ধে ইস্টবেঙ্গলের মরিয়া লড়াই বেশ স্বস্তির। দুই নতুন বিদেশির অভিষেক হল ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে। দু-জনকেই পরিবর্ত হিসেবে নামানো হয়। ফেলিসিও ব্রাউনকে আগে নামানো হয়। ৭৬ মিনিটে নামেন ভিক্টর ভাসকেজ। ০-২ পিছিয়ে বিরতিতে ইস্টবেঙ্গল। ৫৩ মিনিটে নন্দকুমারের গোলে ব্যবধান কমায় ইস্টবেঙ্গল। তাতেও লাভ হয়নি। দ্রুতই স্কোরলই ৩-১ করেন টমি ইউরিচ। ১-৩ পিছিয়ে থাকা অবস্থায় ব্যবধান কমান নতুন বিদেশি ফেলিসিও ব্রাউন। শেষ অবধি ২-৩ স্কোরলাইনে যেন ইস্টবেঙ্গলে আপশোস। দুই বিদেশিকে যদি আগে নামানো হত!