পেশাদার ক্লাব। সব দিক থেকেই। দু-দলের প্লেয়ারের ধাক্কা লাগলে বেশির ভাগ সময় পড়ে থাকতে দেখা গেল আর্কাদাগের প্লেয়ারকেই। তাদের গোলকিপার ঠিক কতবার পড়লেন, মাঠে চিকিৎসা চলল, এ যেন হিসেবের বাইরে। মেসি বৌলির সঙ্গে বল কাড়াকাড়িতেও দু-জনের সমান ধাক্কা লাগলেও পড়ে রইলেন আর্কাদাগের প্লেয়ারই। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই যে সময় নষ্টের খেলা, পরিষ্কার ধরা পড়েছে। ম্যাচের শেষ দিকে ইস্টবেঙ্গল প্লেয়ারদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিতেও জড়াল আর্কাদাগ। তুর্কমেনিস্তানের আর্কাদাগ ১-০ গোলে হারাল ইস্টবেঙ্গলকে।
এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের গ্রুপ পর্বে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে ইস্টবেঙ্গল। কোয়ার্টার ফাইনালেও জায়গা করে নিয়েছিল। ইন্ডিয়ান সুপার লিগেও গত চার ম্যাচের মধ্যে জয়ের হ্যাটট্রিক, শেষটিতে ড্র। এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাসী ছিল ইস্টবেঙ্গল। ঘরের মাঠের সমর্থনও বিশ্বাসের অন্যতম কারণ। যদিও প্রথম লেগে হার।
ম্যাচের ১০ মিনিটেই গুরবানোবোর গোলে এগিয়ে যায় আর্কাদাগ। শুরুতেই গোল পাওয়ায় ডিফেন্সেই নজর তুর্কমেনিস্তানের ক্লাবের। সঙ্গে সময় নষ্টের। দু-দলেরই মাত্র একটি করে শট টার্গেটে। আর্কাদাগ গোল করেছে, ইস্টবেঙ্গল সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। গ্রুপ লিগের ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানের এই ক্লাব ঝুরি ঝুরি গোল করেছে। তাদের কাছে মাত্র ১ গোলে হার ইস্টবেঙ্গলের ক্ষেত্রে লজ্জার একেবারেই নয়। তার উপর প্রতিপক্ষর সময় নষ্টের খেলা। ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ ভাগকে নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন তোলাই যায়। সেই অর্থে সুযোগই তৈরি করতে পারেনি। সেমিফাইনালে যেতে হলে অ্যাওয়ে ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলকে বড় ব্যবধানে জিততে হবে।