গত বারের রানার্স ইস্টবেঙ্গল। এ বারও দুর্দান্ত খেলছিল তারা। ছন্দপতন হয় কিছুটা। গত রবিবার কলকাতা ডার্বি হওয়ার কথা ছিল। যদিও নিরাপত্তার কারণে এই ম্যাচ বাতিল করে ডুরান্ড কমিটি। পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের ম্যাচ কলকাতার বাইরে চলে যায়। কোয়ার্টার ফাইনালে শিলং লাজংয়ের বিরুদ্ধে পিছিয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল। সমতাও ফেরায়। ডুরান্ডের নকআউটের নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত সময় স্কোর লাইন সমান থাকলে সরাসরি টাইব্রেকার। তবে শেষ দিকে আরও একটা গোল শিলং লাজংয়ের। শেষ অবধি ২-১ স্কোর লাইনই থাকে। হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় লাল-হলুদ বাহিনীকে।
ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল কলকাতায়। ঘরের মাঠের সমর্থকদের সামনে খেলার সুযোগ পেলে ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা হয়তো বাড়তি তাগিদ পেত। যে সুযোগটা পেল শিলং লাজং। ম্যাচের মাত্র ৮ মিনিটেই রুডিয়ারের গোলে এগিয়ে যায় শিলং লাজং এফসি। তাদের কাছে আরও একটা দুর্দান্ত সুযোগ এসেছিল। সে যাত্রায় তা বাঁচিয়ে দেন ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক। ইস্টবেঙ্গলের কাছেও দ্রুতই সমতা ফেরানোর সুযোগ আসে। যদিও অফসাইডে গোল বাতিল হয়। ১-০ এগিয়ে বিরতিতে যায় শিলং।
অবশেষে দ্বিতীয়ার্ধে সাময়িক স্বস্তি ফেরে ইস্টবেঙ্গলে। ম্যাচের ৭৭ মিনিটে গোল করে সমতা ফেরান নন্দকুমার। গোলের সেলিব্রেশনের পাশাপাশি আরজি কর কাণ্ড নিয়ে বার্তাও দেন। সেখানে লেখা ছিল, ‘রেসপেক্ট উইমেন’। নির্ধারিত সময় অবধি স্কোরলাইন ১-১ থাকলে ম্যাচ সরাসরি টাইব্রেকারে গড়াত। যদিও সেই সুযোগ আসেনি। ঘরের মাঠের সমর্থকদের সামনে বাড়তি তাগিদ নিয়ে ঝাঁপায় শিলং। ৮৩ মিনিটে ফিগোর গোলে স্কোর লাইন ২-১ করে লাজং। ফিগোর এই গোলই নির্ণায়ক হয়ে দাঁড়ায়।