ইন্ডিয়ান সুপার লিগে টপ সিক্সে থাকা খুবই কঠিন ইস্টবেঙ্গলের জন্য়। ১৮ ম্যাচ খেলে ঝুলিতে মাত্র ১৮ পয়েন্ট। ফলে সব অঙ্ক ইস্টবেঙ্গলের হাতেই। এখান থেকে সব ম্যাচ জিতলে শীর্ষ ছয়ে থাকা যেতেই পারে। তবে সেটা খুবই কঠিন। ইস্টবেঙ্গল শিবিরও যেন প্লে-অফের আশা ছেড়ে দিয়েছে। বরং তাদের নজরে এএফসির টুর্নামেন্ট এবং সুপার কাপ। আইএসএলে এ মরসুমের বাকি ম্যাচগুলি জিতে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নেওয়াই লক্ষ্য। পাশাপাশি রিজার্ভ বেঞ্চকে শক্তিশালী করা।শনিবার সন্ধ্যায় ঘরের মাঠে ইস্টবেঙ্গলের
সামনে চেন্নায়িন এফসি। পরপর ম্যাচ জিততে শুরু করলে অবশ্য প্লে-অফের চিত্রটা বদলে যেতে পারে। সেই লক্ষ্যও থাকবে ইস্টবেঙ্গলের। তবে আন্ডারডগ হয়ে মাঠে নামাটাই যেন অ্যাডভান্টেজ। কিছুক্ষেত্রে প্রত্যাশা কম নিয়ে নামলে সাফল্যও বেশি পাওয়া যেতে পারে। ইস্টবেঙ্গলের মূল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে চোট আঘাত। একের পর এক ফুটবলার চোটের কবলে পড়েছেন। মাদিহ তালাল, হিজাজি মাহেরের মতো বিদেশিরা ছিটকে গিয়েছেন। তেমনই আনোয়ার আলিকেও বেশ কিছু ম্যাচে পাওয়া যায়নি।
ইস্টবেঙ্গলের কাছে বাকি সব ম্যাচই সমান গুরুত্বপূর্ণ। চেন্নায়িন এফসি ম্যাচ থেকেই যেন শূন্য থেকে শুরু। এখান থেকে হারানোর কিছু নেই। তবে পাওয়ার অনেক কিছুই রয়েছে। চেন্নায়িনের পরে ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ বাকি রয়েছে মহমেডান, পঞ্জাব এফসি, হায়দরাবাদ এফসি, বেঙ্গালুরু এফসি ও নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে। চেন্নায়িনকে হারাতে পারলে বাকি ম্যাচগুলির জন্য় ইতিবাচক কিছু ভাবা যেতেই পারে। এখন দেখার এই ধাপ পেরোতে পারে কি না ইস্টবেঙ্গল। লক্ষ্যটা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়।
সদ্য ক্যামেরুন জাতীয় দলের ফরোয়ার্ড রাফায়েল মেসি বৌলিকে সই করিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। বৃহস্পতিবার শহরে পৌঁছে গিয়েছেন মেসি। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি টিমের প্র্যাক্টিসে চলে যান। তাঁকে ২৮ নম্বর জার্সি তুলে দেন কোচ অস্কার ব্রুজো। চেন্নায়িন ম্যাচে পাওয়া যেতে পারে আনোয়ারকে। সেটাই ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের কাছে একটা স্বস্তির খবর।