মোহনবাগানের সামিকে সম্মানিত করল ইস্টবেঙ্গল

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আর মহম্মদ সামি। ভারতীয় ক্রিকেটে বাংলার দুই উজ্জ্বল মুখ। সামি বাঙালি না হলেও, এই রাজ্যের সঙ্গে ভীষণ ভাবে জড়িয়ে। ইস্টবেঙ্গল দিবসে মঞ্চ আলো করে বসে থাকলেই দুই উজ্জ্বল মুখ। সৌরভ ইস্টবেঙ্গলের ভারতগৌরব সম্মান পেলেন। আর মহম্মদ সামিকে বাংলার গর্ব সম্মানে সম্মানিত করা হল। ক্লাব ক্রিকেটে মোহনবাগানের হয়ে খেলেন সামি। বাংলার সেই পেসারকে সম্মানিত করল ইস্টবেঙ্গল। দীর্ঘ কয়েক বছর বাদে কলকাতায় এসে নস্ট্যালজিক হয়ে পড়লেন সামি।

ভারতীয় পেসার ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে ঢুকতেই তাঁকে ইস্টবেঙ্গলে খেলার প্রস্তাব দেন দেবব্রত সরকার। গত কয়েক বছরে ইস্টবেঙ্গল ক্রিকেট দল বেশ ভালো দল গড়ছে। লাল-হলুদ কর্তার প্রস্তাবে সামির উত্তর, ‘সত্যিই দারুণ প্রস্তাব। বাংলায় ক্রিকেট হোক কিংবা ফুটবল, ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের কথা সবার আগে আসে। অনেকদিন ধরে ক্লাব ক্রিকেট খেলিনি। দেশের জন্য খেলেছি ঠিকই। তবে আবার এই বাংলার মাটিতেই ফিরে আসব।’

একই সঙ্গে সামির উত্তর, ‘বাংলায় যা পেয়েছি,উত্তরপ্রদেশে জন্মেও তা পাইনি। বাংলার হয়ে খেলে যে নাম হয়েছে আজীবন মনে রাখব। ধন্যবাদ সবাইকে। বাইরে কে আসায় ভরসা পেতে দেরি হয়। কিন্তু লক্ষ্মীরতন শুক্লা, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা ভরসা জুগিয়েছে। আমি এই বাংলারই।’

সামিকে আবার কবে দেখা যাবে জাতীয় দলের জার্সিতে? প্রশ্নের উত্তরে সামি বললেন, ‘অনেক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আমার সামনে থেকে বিশ্বকাপ চলে য়েছে। চোটের জন্য বিশ্বকাপ খেলতে পারিনি। দেশের হয়ে খেলার আগে বাংলার জার্সিতে খেলব। শীঘ্রই বাংলার হয়ে রঞ্জিতে খেলব। লক্ষ্মী ভাই এখন কোচ। লক্ষ্মী ভাইয়ের সঙ্গে খেলেছি। ওর অধীনেও খেলতে চাই।’

মঞ্চে যখন সম্মান হতে সামি, তাঁর সামনে চেয়ার আলো করে বসে মহারাজ। সৌরভকে সামনে দেখতে পেয়েই মঞ্চ থেকে সামি বললেন, ‘দাদির খেলা দেখেই বড় হয়েছি। সচিন ভাই আর দাদির ওপেনিং জুটি দেখতাম। বোলিংয়ে শুধুমাত্র জাহির খানের খেলা দেখতাম। খুব ভালো লাগত ওর বোলিং।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − 4 =