আইএসএলে মরসুমের প্রথম ম্যাচে ড্র। কলকাতা লিগে গ্রুপ পর্বে অপরাজিত ছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু সুপার সিক্স পর্বে প্রথম ম্যাচেই হেরেছিল ইস্টবেঙ্গল। আইএসএলে পয়েন্ট নষ্টের পর লিগে দারুণ প্রত্যাবর্তন ইস্টবেঙ্গল রিজার্ভ টিমের। তেমনই আগের ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলকে হারানোর পর সুপার সিক্সে জয়ের ধারা অব্যহত রাখল মহমেডান স্পোর্টিং। লিগ পর্বে ডায়মন্ডহারবার এফসির কাছে হেরেছিল মহমেডান। সুপার সিক্সে মধুর প্রতিশোধ। সুপার সিক্স পর্বে হারের ধাক্কা কাটিয়ে দশ গোলের প্রত্যাবর্তন ইস্টবেঙ্গলের। খিদিরপুর এফসিকে ১০-১ ব্যবধানে হারাল লাল-হলুদ। হ্যাটট্রিক সহ চার গোল বিষ্ণুর। হ্যাটট্রিক করেছেন মহিতোষ। জোড়া হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি জোড়া গোল সুহেরের। বাকি এক গোল জেসিন টিকের। এ বারের লিগে জেসিন টিকের সৌজন্যেই চার বছর পর সিনিয়র টিমে হ্য়াটট্রিকের খরা কেটেছিল। জেসিনের পর এ বারের লিগে ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে হ্যাটট্রিক বিষ্ণু, মহিতোষের। একই ম্যাচে দুজনের হ্যাটট্রিক! ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের হয়ে ৩৪ বছর আগে এই রেকর্ড গড়েছিলেন চিমা ও কুলজিৎ। এ দিন করলেন বিষ্ণু ও মহিতোষ। খিদিরপুরের বিরুদ্ধে রেকর্ডও গড়ল ইস্টবেঙ্গল। এর আগে কলকাতা ফুটবল লিগে দু-বার ১০ গোল করেছিল ইস্টবেঙ্গল। সেও বছর বছর আগে। ১৯৪৩ সালের ১০ জুন, ডালহৌসি ক্লাবকে ১০-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। এরপর ১৯৪৯ সালে ক্যালকাটা গ্যারিসনের বিরুদ্ধে ১০-০ ব্যবধানে জিতেছিল লাল-হলুদ বাহিনী। আরও রেকর্ড রয়েছে এই ম্যাচে। লিগ ছাড়া ইস্টবেঙ্গল ১০ গোল দিয়েছিল আরও দু-বার। ১৯৪৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রোভার্সে কাপে ইস্টবেঙ্গল ১১-০ ব্যবধানে বিবি অ্যান্ড সিআই রেলকে হারিয়েছিল। এ ছাড়া ১৯৭২ সালে ২৬ ডিসেম্বর ডুরান্ড কাপে বিবি স্টারকে ১০ গোলে হারিয়েছিল লাল-হলুদ। সুপার সিক্সে দিনের অন্য ম্যাচে ডায়মন্ডহারবারকে ২-০ ব্যবধানে হারাল মহমেডান স্পোর্টিং। প্রথমার্ধে কোনও দলই গোল করতে পারেনি। সুযোগ তৈরি হয়েছে যথেষ্ঠ। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের রং বদলে যায়। ম্যাচের ৬০ মিনিটে অঙ্গুসানা এগিয়ে দেন মহমেডানকে। অ্যাডেড টাইমে পেনাল্টি থেকে গোল এ বারের লিগে সাড়া জাগানো পারফরম্যান্স করা ডেভিড লালহানসাঙ্গা।