জেসিনের জোড়া গোলে ডায়মন্ড কাটল ইস্টবেঙ্গল

কলকাতা লিগের সবচেয়ে কঠিন ম্যাচ কোনটা? ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ডার্বি নাকি অন্য কোনও ম্যাচ? উত্তরটা হতেই পারে ইস্টবেঙ্গল বনাম ডায়মন্ড হারবার ম্যাচ। গত বছর থেকেই ইস্টবেঙ্গল বনাম ডায়মন্ড ম্যাচ হয়েছে লিগের নির্ণায়ক ম্যাচ। রবিবার কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে সুপার সিক্স পর্বের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ও ডায়মন্ড হারবার এফসি। ৩-১ গোলের ব্যবধানে জয়ী ইস্টবেঙ্গল।

প্রথমার্ধের ১০ মিনিট ডায়মন্ড হারবার ইস্টবেঙ্গলকে কড়া চ্যালেঞ্জ দিতে থাকে। তবে যত সময় এগিয়েছে ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা ম্যাচে নিজেদের আধিপত্য বাড়িয়েছে। ম্যাচের শুরুতেই বড় ধাক্কা ডায়মন্ড হারবারের। দলের নতুন সংযোজন সাইডব্যাক রুহুল কুদ্দুস পুরকাইয়েত চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যান। ৫ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন ইস্টবেঙ্গল মাঝমাঠের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় তন্ময় দাস। ম্যাচের ৮ মিনিটে সুযোগ পায় ইস্টবেঙ্গল। বক্সের বাইরে নসিবের চেষ্টা বিফলে যায়। কিছুক্ষণ বাদেই চাকু মান্ডি ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন। ১৬ মিনিটে আমন সিকের পাসে বিষ্ণুর শট গোলপোস্টের উপর দিয়ে মাঠের বাইরে চলে যায়। ২৬ মিনিটে আমন সিকে বল বাড়ান বিষ্ণুকে। পিভি বিষ্ণুর পাসে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন ডেভিড লালহানসাঙ্গা। ৩৪ মিনিটে ডেভিডের হেড থেকে বিষ্ণুর শট ডায়মন্ড হারবার গোলকিপার সুস্নাত মালিক বাঁচিয়ে দেন।

দ্বিতীয়ার্ধে ইস্টবেঙ্গল একাধিক আক্রমণ করলেও গোল করতে ব্যর্থ। ৬১ মিনিটে আমনের জায়গায় গুইতে এবং ডেভিডের জায়গায় জেসিনকে নামায় ইস্টবেঙ্গল কোচ বিনো জর্জ। ৬৬ মিনিটে জেসিন দুজনকে কাটিয়ে বিষ্ণুকে বল দেন, সেখান থেকে বিষ্ণুর খারাপ শটে সুযোগ হাতছাড়া হয়। প্রতি আক্রমণে ক্রমশ চাপ বাড়াচ্ছিল ডায়মন্ড হারবার। পলের ফ্রিকিক থেকে সাইরুয়াতকিমার গোলে সমতায় ফেরে ডায়মন্ড। ৭৫ মিনিটে সায়নের বাড়ানো বল থেকে গোল করেন জেসিন। অতিরিক্ত সময়ে জেসিন টিকের গোলে ৩-১ ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় ইস্টবেঙ্গল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × three =