মরসুমের প্রথম বড় ম্যাচ জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। ডুরান্ড কাপের গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি হয়েছিল দু-প্রধান। রবিবার ডুরান্ড ফাইনাল। মরসুমের দ্বিতীয় ডার্বি। এ মরসুমের আগে টানা আটটি ডার্বি হেরেছিল ইস্টবেঙ্গল। স্বাভাবিক ভাবেই সমর্থকরা উচ্ছ্বসিত। ফাইনালে আরও একবার তারই পুনরাবৃত্তি হোক, এমনটাই প্রত্যাশা লাল-হলুদ সমর্থকদের। প্লেয়াররাও দুর্দান্ত প্রস্তুতি সারছেন। কিন্তু রবিবারের ডার্বি নিয়ে ব্যাপক চিন্তায় ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কর্তারা। সৌজন্যে রেফারিং। ডুরান্ডের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান ও এফসি গোয়া। সেই ম্যাচে মোহনবাগানকে পেনাল্টি ‘পাইয়ে’ দেওয়া হয়েছে, এমনটাই আশঙ্কা ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের। সে কারণেই সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে নানা দাবি তোলা হল। মোহনবাগানের নাম না করে ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, ‘ডুরান্ড চলাকালীন কোনও একটা বিশেষ ক্লাবকে এমন কিছু সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, যেমন প্লেয়ার রেজিট্রেশন শেষ হয়ে যাওয়ার পরও তাদের চারজন প্লেয়ারকে রেজিস্টার করতে দেওয়া হয়েছে।’ এরপরই রেফারিং নিয়ে প্রশ্ন তুলে ইস্টবেঙ্গলের দাবি, ‘প্রত্যেকটা ম্যাচে, এমনকি মুম্বই ম্যাচটাও দেখুন, প্রত্যেকটা ক্লিপিংস আমাদের কাছে রয়েছে। গত বছর আইএসএল ফাইনালে বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে যেটা হয়েছে, এমনকি সেমিফাইনালের পর এফসি গোয়ার কোচ যা বলেছেন, কার্যত সব সংবাদমাধ্যমেই তুলে ধরা হয়েছে।’ তাহলে কি রবিবারের ডার্বিতে বিদেশি রেফারি চাইছে ইস্টবেঙ্গল? সে কথা অবশ্য বলছে না ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদের শীর্ষকর্তা বলেন, ‘রবিবার আরও একটা ডার্বি এবং ঐতিহাসিক ডুরান্ড কাপের ফাইনাল। আমরা চাই সুন্দর ম্যাচ উপভোগ করি, যাতে কোনও ক্লাবই এ ভাবে সুযোগ না পায়। উদ্যোক্তাদের অনুরোধ করতে চাই, সঠিক ভাবে মূল্যায়ন করা হোক। জানি না কেন, কোনও একটি ক্লাবকে এ ভাবে সুযোগ সুবিধা করে দেওয়া হচ্ছে। বাকি ক্লাবগুলোর টিম করে তো লাভ নেই। মুম্বই সিটি এফসি আমাদের এখানে প্রস্তুতি করতে এসেছিল। তাদের একজন তো বলেই ফেললেন, এরকম চললে তারা কেন খেলতে আসবে? এই পরিস্থিতি থেকে আমরা মুক্ত হতে চাই।’ প্রয়োজনে সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থাকেও জানাবে ইস্টবেঙ্গল শিবির। রেফারিংয়ের পাশাপাশি ডুরান্ডের টিকিট বন্টন নিয়েও চরম অসন্তুষ্ট লাল-হলুদ শিবির।