জয়ে ফিরল ইস্টবেঙ্গল। কাস্টমসের কাছে গত ম্যাচেই আটকে গিয়েছিল বিনো জর্জের ছেলেরা। ঘরের মাঠে ফিরতেই জয়ে ফিরল ইস্টবেঙ্গল। পুলিশ এসিকে হাফডজন গোলে উড়িয়ে দিল লাল-হলুদ। এই জয়ের সুবাদে লিগ টেবিলের মগডালে উঠে গেল ইস্টবেঙ্গল। ৫ ম্যাচে লাল-হলুদের ঝুলিতে ১৩ পয়েন্ট। ভবানীপুরও ৫ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট অর্জন করেছে। কলকাতা ফুটবল লিগে গোল পার্থক্যে এগিয়ে ইস্টবেঙ্গল।
ম্যাচ শুরুর আগে বিদেশি ফুটবলের কায়দায় নতুন রিক্রুট জিকসন সিংকে আনুষ্ঠানিকভাবে সামনে আনে ইস্টবেঙ্গল। দর্শকভর্তি গ্যালারির সামনে দু’হাত তুলে সমর্থকদের অভিবাদন কুড়ান লাল-হলুদের নয়া মিডিও। ৪ বছরের চুক্তিতে জিকসনকে কেরালা ব্লাস্টার্স থেকে সই করিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র দলের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতও। ইস্টবেঙ্গল কর্তারা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্তা বিভাস আগরওয়াল আর সন্দীপ আগারওয়াল। জিকসনের হাতে তুলে দেওয়া ৬ নম্বর জার্সি।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ফুটবল খেলতে শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। খেলার ১৭ মিনিটে পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙেন সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। ৪১ মিনিটে ব্যবধান ২-০ করেন বিষ্ণু। হাফটাইমে এই স্কোরলাইন রেখেই মাঠ ছাড়ে ইস্টবেঙ্গল।
দ্বিতীয়ার্ধে আবারও ঝড় তুলতে শুরু করে লাল-হলুদ। ৩-০ করেন শ্যামল বেসরা। এরপর লাল-হলুদের হয়ে জোড়া গোল করেন জেসিন টিকে। উইং দিয়ে একের পর এক আক্রমণে বিপক্ষকে ফালাফালা করে দেন সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দেন অমন সিকে। সায়ন, জোসেফ জাস্টিনরা স্বপ্ন দেখাচ্ছেন সমর্থকদের। মশালে বারুদ জমানোর সঙ্গে সলতেও পাকাচ্ছেন বিনো জর্জ।