জামশেদপুরকে হারিয়ে দশে উঠে এল ইস্টবেঙ্গল

ম্যাচের ইনজুরি টাইমের তখন শেষ মিনিট চলছে। লাল হলুদ কোচ অস্কার ব্রুজো হাত মুঠো করে দেখালেন সমর্থকদের দিকে। কারণ, জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গলের জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। খেলা শেষের বাঁশি বাজতেই সহকারী কোচ বিনো জর্জ কোলে তুলে নিলেন অস্কারকে। যুবভারতী তখন রঙমশালের আলো আর সমর্থকদের চিৎকারে গমগম করছে।

ম্যাচের একমাত্র গোল করে গেলেন দিয়ামানতাকোস। তবে ৯০ মিনিট জুড়ে একটা গোল হলেও আধিপত্য বজায় রাখল লাল হলুদই। প্রথম দশ মিনিট তো কার্যত বলই ধরতে পারেনি জামশেদপুর। খেলার সাত মিনিটের মাথায় ক্লেটন সিলভার হেড বাঁচান জামশেদপুর কিপার প্রতীক। রিবাউন্ড বলে আনোয়ারের বাঁ পায়ের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। শুরু থেকেই এদিন গোলের জন্য ঝাঁপিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। সামনে থেকে টানা নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন ক্লেটন এবং দিয়ামানতাকোস।

৩৬ মিনিটে ক্লেটনের বাড়ানো বল থেকে গোলকিপারের হাতে মারেন নান্ধা কুমার। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন সেই নান্ধা। যে বল ছোঁয়ালেই গোল হয়ে যায় সেটা ক্লটনের দিকে বাড়িয়ে দেন। অন্যদিকে, জামশেদপুরকে এদিন খানিকটা নিষ্প্রভ দেখিয়েছে। কাউন্টার অ্যাটাক ছাড়া খুব একটা বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারেননি জর্ডন মারে, সিভেরিওরা। প্রথমার্ধ গোলশূন্য গেলেও ৬০ মিনিটে খাতা খোলেন দিয়ামানতাকোস। হেক্টরের বাড়ানো বল থেকে ক্লেটনের পাস যায় নান্ধা কুমারের কাছে। তাঁর বাড়ানো মাইনাসে পা ছুঁইয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন দিয়ামানতাকোস। ৬৮ মিনিটের মাথায় বিশ্বমানের গোল করার সুযোগ এসেছিল পিভি বিষ্ণুর কাছে।

বাঁদিক থেকে ড্রিবল করে ছয় গজের বক্সে ঢুকে গিয়েছিলেন বিষ্ণু। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তাঁর শট ক্রসপিসের ভেতরে লেগে ফিরে আসে। খেলার শেষের দিকে জামশেদপুর সেটপিস থেকে কিছু সুযোগ তৈরি করলেও ডিফেন্স ভাঙেনি লাল হলুদের। ১২ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের দশম স্থানে ক্লেটনরা। তবে এর মধ্যেও চোটের কবলে পড়তে হল ইস্টবেঙ্গলকে। প্রথমার্ধে হাঁটুতে চোট পেয়ে বেরিয়ে যান মহম্মদ রাকিপ। মাঠে নামেন জিকসন। শেষ পর্যন্ত খেললেও মাঝেমধ্যে খোঁড়াতে দেখা যাচ্ছিল তাঁকে। ইস্টবেঙ্গলের পরের ম্যাচ ২৮ ডিসেম্বর হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × two =